বিনোদনবলিউড

অন্বেশি জৈনের সাহসী দৃশ্য দেখে রেগে লাল হয়েছিলেন তাঁর বাবা, বন্ধ করেছিলেন মেয়ের সাথে কথা বলা

গান্দি বাত ২ তে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছেছিলেন আনবেশি জৈন

Advertisement
Advertisement

বর্তমান সময়ে সিনেমা সিরিয়ালের পাশাপাশি গ্ল্যামার ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুন সংযোজন হয়েছে ওয়েব সিরিজের। আসলে প্রযুক্তির সাথে খাপ খাইয়ে চলতে গিয়ে এখন প্রত্যেকেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজ দেখতে পছন্দ করেন। বাংলা, হিন্দি এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষার বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ টেক্কা দেয় বড় বাজেটের সিনেমাকেও। আসলে করোনা পরবর্তী সময় থেকে ডিজিটাল মিডিয়া কদর বুঝে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। আর সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলার জন্য জন্ম নিয়েছে একাধিক প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের।

Advertisement
Advertisement

এমনকি সময়ের সাথে সাথে বলি অভিনেত্রীদের পাশাপাশি বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন বিভিন্ন ওয়েব সিরিজের তারকারা। সেই তালিকাতে রয়েছেন আনবেশি জৈন। প্রথমে ওলট বালাজির গান্দি বাত ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে সকলের নজরে এসেছিলেন তিনি। তারপর আবারও ওই ওয়েব সিরিজের সেকেন্ড সিক্যুয়েল গান্দি বাত ২ তে অভিনয় করে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান তিনি। এমনকি এই ওয়েব সিরিজের পর তিনি গুগলের মোস্ট সার্চ অভিনেত্রীর তকমা পান। বলাবাহুল্য, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে অভিনেত্রীর ফ্যান ফলোয়ার কম নেই।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

তবে গান্দি বাত ২ তে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে অভিনেত্রী অকপটে জানান যে তা এক দুঃস্বপ্ন ছিল। আসলে অভিনেত্রী মনে করেছিলেন যে তার এই ওয়েব সিরিজে কাজ করার কথা বাড়ির লোক কেউ জানতে পারবে না। কিন্তু ফ্লোরা সাইনি সাথে তার লেসবিয়ান সিন ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ইন্টারনেট দুনিয়াতে। এই ওয়েব সিরিজে মেয়ের কাজ করার কথা জানতে পেরে আনবেশি জৈনের বাবা ব্যাপক রেগে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনি মেয়ের সাথে কয়েক সপ্তাহ কথা অব্দি বলেননি। সেই সব কঠিন চ্যালেঞ্জিং দিনের কথা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে তিনি একদিন জিম করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে তার বাবা ফোন করে জানায় যে সে সবকিছু জানতে পেরে গেছে। এরপর অভিনেত্রী কাঁদতে কাঁদতে রাস্তার মাঝে দৌড়াতে দৌড়াতে বাড়ি ফিরে। এরপর বাবার সাথে কথা বলতে চাইলেও, অভিনেত্রীর বাবা-মা কেউ তার সাথে কথা বলেনি। এমনকি অভিনেত্রী বাবাকে প্রত্যেক সপ্তাহে চিঠি লিখলেও তার কোনো প্রত্যুত্তর আসত না। শেষবার অভিনেত্রী তার বাবাকে ৫ পাতার একটি চিঠি লিখেছিলেন। পরে অবশ্য অভিনেত্রী তার বাবা-মাকে জানিয়েছে যে সে এমন কিছু ভুল করেনি। মুম্বাইতে এসে তার কাছে এক টাকাও ছিল না। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে ওই ওয়েব সিরিজে কাজ করেছিলেন তিনি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button