আসলেই প্রভাব কেটে গেলেও নিম্নচাপের প্রভাব এখনো থাকছে বাংলার ভাগ্যাকাশে। বর্তমানে শক্তি হারিয়ে সাধারন নিম্নচাপ হিসেবে অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। করা হয়েছিল অন্ধ্র উপকূল থেকে সমুদ্রের উপর দিয়ে দক্ষিণ বাংলাদেশের দিকে এগোবে এই ঘূর্ণিঝড়। মাঝপথেই শক্তি হারিয়ে অনেকটাই নিস্তেজ হয়ে পড়েছে এই ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গের দিকে এই ঘূর্ণিঝড় আসছে কিন্তু স্থলভাগের উপর তেমন আর কোনো প্রভাব পড়বে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে দক্ষিণ বাংলাদেশের দিকে এগোতে শুরু করেছে এই ঘূর্ণিঝড়। তবে যেহেতু শক্তি হারিয়েছে, তাই এই ঘূর্ণিঝড়ের তেমন কোন প্রভাব পড়বে না পশ্চিমবঙ্গের উপর। তবে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে।
সমুদ্রের উপরিভাগে থাকার জন্য গতিবেগ আজকে বিকেল পর্যন্ত স্বাভাবিকের থেকে বেশি থাকবে বলেই খবর। মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যেই সমুদ্রের যাওয়া থেকে নিষেধ করা হয়েছে। দীঘায় রয়েছে পুলিশি পাহারা। যেখানে যেখানে মৎস্যজীবীদের অবস্থান বেশি, বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। দীঘায় যাওয়া দর্শনার্থীদের সামলানোর জন্য অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স ব্যবহার করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowঅন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। পার্বত্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তরাই ডুয়ার্স এবং সমতলের এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। সবথেকে বেশি বৃষ্টি হবে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার জেলায়। হাওয়া সূত্রের খবর এই দুটি জেলায় এই মৌসুমে ব্যাপক বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রত্যেকটি জেলায় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হলে সাময়িক স্বস্তি মিললেও বাকি সময়ে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর পরিবেশ এবং ঘর্মাক্ত আবহাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। তবে এর আসল কারণ হলো, অশনির জেরে প্রচুর পরিমাণ জলীয়বাষ্প প্রবেশ করেছে কলকাতা এবং গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়ার মধ্যে। আপেক্ষিক আদ্রতা সর্বাধিক ৯১ আদর্শ রয়েছে কলকাতা এবং আশপাশের এলাকায়। এই আপেক্ষিক আদ্রতার জন্য ইতিমধ্যেই অস্বস্তি শুরু হয়েছে কলকাতায়। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম থাকলেও, ঘর্মাক্ত পরিবেশ থাকবে কলকাতা এবং আশেপাশের এলাকায়।