ভারতবার্তা ডিজিটাল ডেস্ক, সায়ন্তিকা দাস : আমাদের অনেকেরই এই ধারণা রয়েছে বুকে ব্যাথা হওয়া মানেই হার্টের সমস্যা। তবে এমন অনেক হার্টের অসুখের রোগী রয়েছে যাদের বুকে ব্যথা হয় না। তাদের মধ্যে একটি প্রশ্ন থেকে যায় যে তাদের তো কোনোদিন বুকে ব্যথা হয়নি তবে তাদের হার্টের অসুখ হলো কি করে?
হৃদপিন্ডের যে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলো থাকে সেগুলিতে মেদ জমে যাওয়ার কারনে হৃদপিন্ডের রক্ত সরবরাহ ধীর হয়ে পড়ে। এর ফলে একটু ভারী কাজ করলেই আমরা হাঁপিয়ে যাই এবং আমাদের বুকে ব্যাথা হতে পারে। আবার সিঁড়ি দিয়ে বেশি ওঠানামা করলেও বুকের মাঝখানে ব্যাথা হতে পারে। এই ব্যাথা আমরা যত কাজ করি তত বেড়ে যায় এবং যদি আমরা বিশ্রাম নি তবে এ ব্যথা ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকিন্তু সবার ক্ষেত্রে এরকম ব্যাথা অনুভূত হয় না। তারা কখোনো বুঝতেই পারেন না যে তাদের হৃদপিন্ডের রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এবং হঠাৎই হার্ট অ্যাটাক দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের শরীরে অন্যান্য রোগ থাকে তাদের এরকমটা হয়ে থাকে। যাদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের শরীরের নানা জটিলতা থাকার ফলে এর উপসর্গগুলি তারা ঠিকমতো বুঝতে পারেনা।
অনেকে এমন কিছু ওষুধের সেবন করে থাকেন যার ফলে নার্ভ সিস্টেম দুর্বল হয়ে পড়ে। তাদের ক্ষেত্রেও উপসর্গগুলি চেনা মুশকিল হয়ে পড়ে।
যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন এবং হাঁটাহাঁটি করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে মূল ধমনী কাজ করা বন্ধ করে দিলেও অন্যান্য যে রক্তনালীগুলি থাকে সেগুলি সক্রিয় থাকে। ফলে বেশি পরিশ্রম করলেও তাদের বুকে ব্যাথা অনুভূত হয় না।
হার্টের সমস্যা হলে শুধুমাত্র যে বুকে ব্যাথা হয় সেটা কিন্তু বলা চলে না। হার্টের সমস্যার আরো কিছু লক্ষণ আছে। যেমন-
১) আপনার হার্টের সমস্যা হয়ে থাকলে একটু পরিশ্রম করলে আপনি অতিরিক্ত ঘেমে যাবেন এবং শরীরে অস্বস্তি ভাব অনুভব করবেন।
২) আপনার শরীর চর্চা করার ক্ষমতা কমে আসবে। এমনকি হাত, পা, ঘাড় ইত্যাদি শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আপনি ব্যাথা অনুভব করবেন।
৩) অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। পেটের মাঝখানেও যন্ত্রণা লক্ষ্য করা যেতে পারে।
৪) এছাড়াও বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ গুলি হার্ট অ্যাটাকের কারণে হয়ে থাকে।
উল্লিখিত সমস্যা গুলি যদি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তবে সেটিকে গুরুত্ব দিন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।