Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

দেশের সবথেকে সুন্দরী আইএএস অফিসার স্মিতা, ‘জনতার অধিকারী’ নামে বিখ্যাত এই মহিলা

মেয়েদের প্রতি আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়েই অন্যরকম ছিল। একটা সময় পর্যন্ত তাদের পড়াশোনাও করতে দেওয়া হতনা। তাদের স্থান ছিল শুধুমাত্র বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই। কিন্তু আসতে আস্তে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে।…

Avatar

মেয়েদের প্রতি আমাদের সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়েই অন্যরকম ছিল। একটা সময় পর্যন্ত তাদের পড়াশোনাও করতে দেওয়া হতনা। তাদের স্থান ছিল শুধুমাত্র বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই। কিন্তু আসতে আস্তে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হচ্ছে। ভারতের সাধারণ জনতার মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই পাল্টে গেছে এই মুহুর্তে। এখন তাদেরকে শুধুমাত্র বাড়ির কাজের মধ্যেই সীমিত রাখা হয়না। তারাও এখন ছেলেদের সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছে। বাড়ির সকলের জন্য আয় করছে। মেয়েরাও এখন দেশ তৈরিতে ভূমিকা নিচ্ছে। এমন অনেক উদাহরণ আপনারা আসে পাশে দেখতেও পাবেন।

দেশের সবথেকে সুন্দরী আইএএস অফিসার স্মিতা, 'জনতার অধিকারী' নামে বিখ্যাত এই মহিলা

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

তবে আজকে আমরা যার কথা বলবো তিনি শুধুমাত্র একজন নারী কিংবা একজন সাধারণ নাগরিক নন, তিনি ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় একজন আইএএস অফিসার। বলতে গেলে ভারতের সবথেকে সুন্দরী সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে একজন তিনি। তার রূপের পাশাপশি তার কাজ করার ধরনও অনেকের পছন্দের। তার কাজের মূল মন্ত্র হলো, মানুষের জন্য কাজ করা এবং মানুষের ভালো করা। ওনার নাম স্মিতা সবরওয়াল এবং তিনি এখন দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা। উনি মনে করেন, “অনেকের ধারনা, সিভিল সার্ভিসে চাকরি পেতে হলে শুধুমাত্র আপনাকে কড়া অধ্যয়ন করতে হবে। এই ভাবনাটা ভুল। আপনি যদি শেষ রাউন্ডে নিজের পছন্দের জিনিস নিয়ে কিছু না বলতে পারেন, তাহলে আপনি কোনদিন একজন সিভিল সার্ভিস আধিকারিক হতে পারবেন না।”

দেশের সবথেকে সুন্দরী আইএএস অফিসার স্মিতা, 'জনতার অধিকারী' নামে বিখ্যাত এই মহিলা

১৯ জুন ১৯৭৭ সালে দার্জিলিং জেলায় তার জন্ম। তার পিতাও ছিলেন একজন অফিসার। তার বাবা প্রণব দাস একজন কর্নেল পদে বহুদিন ধরে কর্মরত ছিলেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে ২০০০ সালে তিনি ভারতের সবথেকে কঠিন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা ইউপিএসসি ক্র্যাক করেন এবং সেই পরীক্ষায় তার সারা ভারতের মধ্যে স্থান ছিল চতুর্থ। প্রথমে চিত্তুর জেলায় সাব-কালেক্টর হিসাবে নিজের জীবন শুরু করলেও পরে অন্ধ্র প্রদেশের একাধিক জেলায় প্রায় ১০ বছর ধরে চাকরি করেন। ২০১১ সালে তাকে করিমনগর জেলার ডিএসপি পদে নিয়োগ করা হয়। এরপর তেলেঙ্গানার বারাঙ্গল, বিশাখাপত্তনম সহ একাধিক জায়গায় তিনি দায়িত্ব সামলেছেন। তবে যেখানে যেখানেই তিনি কাজ করতে গিয়েছেন, সেখানেই তার কাজের জন্য তিনি সম্মানিত হয়েছেন এবং বহু মানুষ তার কাজের প্রশংসা করেছেন। অনেকই তাকে জনতার অধিকারী হিসাবেও চেনেন।

দেশের সবথেকে সুন্দরী আইএএস অফিসার স্মিতা, 'জনতার অধিকারী' নামে বিখ্যাত এই মহিলা

আইপিএস অফিসার ডক্টর অকুন সবরওয়ালের সঙ্গে তার বিবাহ হয় এবং তিনি দুই পুত্রের মা। তার দুই ছেলের নাম নানক এবং ভুবিশ। ছেলেদের দেখাশোনা করে, সংসার সামলেও তিনি নিজের কাজের প্রতি সঠিক সম্মান দিয়ে থাকেন। নিজের কাজকে তিনি কখনও অসম্মান করেন না। আপনাদের জানিয়ে রাখি, নিজের কার্যকালের সময়ে তিনি তেলেঙ্গানার হেলথ সেক্টরে আম্মাল্লানা প্রজেক্ট শুরু করেছিলেন, যে প্রজেক্ট এর সফলতার পরে তাকে প্রধান মন্ত্রী একসিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। অন্যদিকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কার্যালয়ে স্থান পাওয়া প্রথম মহিলা অফিসারও তিনিই ছিলেন। এছাড়াও নিজের কাজের জন্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ নামজাদা এক মুখ। গরিবদের প্রতি তার সহমর্মিতা এবং তার কাজ করার ধরন সত্যিই অনস্বীকার্য। প্রায় প্রতিদিন তিনি ২০০ মানুষের অভাব অসুবিধা শুনে সেগুলির সমাধা করেন, যার জন্য তার সঙ্গে সবসময় থাকে বড়দের আশীর্বাদ।

About Author