দেশনিউজ

‘ঝুকেগা নেহি সালা’, পুষ্পা ছবি দেখে অনুপ্রাণিত, একই পদ্ধতিতে কাঠ পাচার করতে গিয়ে পুলিশের জালে এক ব্যক্তি

অল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবিতে একটি কাঠ পাচারের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল, যার অনুকরণে কাঠ পাচার করতে চেয়েছিল এই ব্যক্তি

Advertisement
Advertisement

সারা দেশজুড়ে বর্তমানে ঝড় তুলতে শুরু করেছে দক্ষিণ ভারতীয় সুপারস্টার অল্লু অর্জুনের সুপারহিট ছবি পুষ্পা। এই ছবিটি যে কোনো ভাষাতেই হোক না কেন দুর্দান্ত ব্যবসা করেছে ক্রিসমাসের সিজনে। এই ছবিতে দেখানো হয়েছে একজন স্মাগলার এর গল্প। তবে এই ছবিকে কেন্দ্র করে এরকম কিছু হতে পারে এটা কিন্তু কল্পনা করা যায়নি। সম্প্রতি বেঙ্গালুরু থেকে একটি ঘটনা উঠে এসেছে যা সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। পুষ্পা ছবিতে যে রকম ভাবে পাচার করা দেখানো হয়েছে, তা দেখেই একজন লাল চন্দন পাচারকারী বুদ্ধির ফেঁদে বসে।

Advertisement
Advertisement

এই একই পদ্ধতিতে পাচার করতে যায় ওই ব্যক্তি। কিন্তু সে ভুলে যায়, সিনেমাতে আসল পুলিশ না থাকলেও এখানে তার সামনে পড়বে আসল পুলিশ, আর তাদেরকে বোকা বানানো এত সহজ হবে না। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ইয়াসিন ঝুনঝুনওয়ালা কর্ণাটক অন্ধ্রপ্রদেশ সীমানা থেকে মহারাষ্ট্রের দিকে যাওয়ার রাস্তা ধরে নিজের ট্রাকে করে এই কাঠ পাচারের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। অন্য রাজ্যের সীমা পার করে যখন মহারাষ্ট্রের সীমান্তে তার গাড়ি পৌঁছায়, তখন মহারাষ্ট্র পুলিশ মেরাজনগর এর গান্ধী চকে তাকে ধরে।

Advertisement

পুলিশ জানাচ্ছে, সে প্রায় ২.৪৫ কোটি টাকার কাঠ গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিল। অল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবিটি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সে এরকম কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল বলে জেরায় জানিয়েছে ওই ব্যক্তি। জানা গেছে, এগুলো সবই লাল চন্দন এবং অত্যন্ত দুর্মূল্য এবং খুব কম আছে পৃথিবীতে। পুলিশ জানাচ্ছে, তাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল এই কাঠ পাচার হতে পারে, তাই তারা বন আধিকারিকদের সাথে মিলে একটি যৌথ অভিযান চালায় এবং এই অভিযানের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয় পুলিশ।

Advertisement
Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, তারা প্রায় ১ টন কাঠ উদ্ধার করেছে যার বাজারমূল্য মোটামুটি ২.৪৫ কোটি টাকা। সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পাশাপাশি তার গাড়িটিকে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আমরা অল্লু অর্জুনের পুষ্পা ছবিতে দেখেছিলাম, ট্রাকে করে কাঠ পাচার করতে এবং কাঠের উপরে ফল এবং সবজি রেখে দিতে। সেই একই পন্থা গ্রহণ করেছিল ওই ব্যক্তি। কিন্তু এই বিষয়টি আসল পুলিশের নজর এড়ায়নি।

পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনের ৩৭৯, এবং ৩৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই ব্যক্তির ট্রাকের উপর করোনাভাইরাস এর অত্যাবশ্যকীয় পণ্য স্টিকার পর্যন্ত লাগিয়ে ছিল, যদিও শেষ পর্যন্ত তাকে ধরা পড়তেই হয়। অবশ্যই জানিয়ে রাখি, বেঙ্গালুরু পর্যন্ত কিন্তু তার প্লান কাজ করেছিল, কিন্তু শেষমেশ মহারাষ্ট্র পুলিশের হাতে তাকে ধরা পড়তে হয়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button