টলিউডবাংলা সিরিয়ালবিনোদন

Devlina Kumar: বিয়ের পর শ্বশুড়বাড়িতে প্রথম লক্ষ্মীপুজো! মাথা ভর্তি সিঁদুর, লাল শাড়িতে ‘লক্ষ্মীমন্ত’ উত্তমকুমারের নাত বৌ

Advertisement
Advertisement

সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির জন্য মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। গতকাল থেকে মায়ের আরাধনায় মেতে উঠেছেন সকলে। এদিন বাদ পড়েননি তারকা জুটি, তথা মহানায়ক উত্তমকুমারের নাতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও নাতবৌ দেবলীনা কুমারও। বিয়ের পর এবারই চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে প্রথম পুজো দেবলীনার। ১৯৫০ সালে ছেলে গৌতম জন্মানোর পর মহানায়ক উত্তম কুমার নিজের ভবানীপুরের বাড়িতে শুরু করেন লক্ষ্মী পুজো। মহানায়ক আজ নেই তবে আজও ঐতিহ্যের সঙ্গে মা লক্ষীর আরাধনা হয়। প্রতিবছর এবাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমার মুখ উত্তমকুমারের স্ত্রী গৌরী দেবীর মুখের আদলে তৈরি হয়। এবারেও তার অনথা হয়নি।

Advertisement
Advertisement

Advertisement

এবারের পুজোটা অন্যান্য বারের তুলনায় যেন অনেকটাই আলাদা ছিল অভিনেত্রী দেবলীনা কুমারের কাছে। বিয়ের পর এবছর প্রথম পুজো উত্তম কুমারের নাত বৌয়ের। তাই তো কাল সকাল থেকেই মহানায়কের ভবানীপুরের বাড়িতে জোর তোড়জোড় শুরু করে দেন। মঙ্গলবার রাতে নিজের মা’কে বরণ করা থেকে শুরু করে পুজোর আয়োজন সব কিছুই তিনি একা হাতেই করেছেন। এইদিন গৌরবের সাথে দেবলীনাও করেছেন নির্জলা উপোসও। পাশাপাশি নজর কেড়েছে তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্টও।

Advertisement
Advertisement

এদিন একেবারে চট্টোপাধ্যায় পরিবারের বৌমা সাজে ধরা দিয়েছেন। পুরোপুরি সাবেকি সাজে সেজেছিলেন দেবলীনা। খোঁপায় জুঁই ফুলের মালা আর সিঁথিতে চওড়া করে সিঁদুর আর গা ভর্তি সোনার গয়না আর লাল পাড়া সাদা শাড়িতে সেজেছিলেন। এই সাজ দেখে আপনার তিনি যেন নিজেই লক্ষ্মী। মঙ্গলবার চট্টোপাধ্যায় বাড়ির পাশাপাশি দেবলীনার বাপের বাড়িতে পুজো হয়েছে। দুই বাড়ির পুজো তিনি করেছেন। বাপের বাড়ির পুজো পর্ব মিটিয়ে তারপর শ্বশুরবাড়ির পুজোয় যোগ দিয়েছেন দেবলীনা।

উত্তম কুমারের বাড়ির পুজোর যাবতীয় দায়িত্ব গৌরবই পালন করেছেন। আর তাঁর পাশে আদর্শ সহধর্মিনী দেবলীনার নজর কেড়েছে। চট্টোপাধ্যায় বাড়ির কুলদেবতা দামোদর। কুলদেবতাকে গঙ্গাস্নান করিয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয় মা’য়ের পাশেই। এবারেও সেই রীতি পালিত হয়েছে সাথে হয়েছে মায়ের ভোগ রান্নাও। তবে নিজের শ্বশুড়বাড়ির ভোগ রান্নায় হাত লাগাতে পারেননি দেবলীনা। পরিবারের নিয়ম হল কুলদেবতার দীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত ভোগ রান্না করা যায়না। তাই আর দেবলীনা ভোগের রান্নায় হাত দিতে পারেননি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button