টলিউডবিনোদন

Koyel :‘তথাস্তু ভগবান’-এর কাছে ছোটবেলায় কী চেয়েছিলেন কোয়েল? নিজেই জানালেন সে কথা

Advertisement
Advertisement

মল্লিক বাড়ির দুর্গা পুজো আর মল্লিক বাড়ির ছোট কন্যা দুজনেই খুব জনপ্রিয়। হ্যাঁ কোয়েল মল্লিকের কথা বলছি। আজও পুজোর সময়ে ভবানীপুর চত্বরে গেলে মল্লিক বাড়ি আর তাঁর বাড়ির মেয়েকে একবার দেখা চাই চাই। সকলের কাছে এক আলাদা আকর্ষণ বললে কম কিছু নয়। কোয়েল টলিউডের প্রথম সারি অভিনেত্রী হওয়ার আগে এই ঐতিহ্যবাহী মল্লিক বাড়ির ছোট আর আদুরে মেয়ে৷ ছোট থেকেই পরিবারের সকল আত্মীয়দের মধ্যে বেড়ে ওঠা। বাঙালির দুর্গাপুজোয় এক নস্টালজিয়া বলা যেতে পারে।

Advertisement
Advertisement

কোয়েল বহুবার নিজের নানান ভিডিয়োতে ছোটবেলার দুর্গাপুজোর স্মৃতিচারণা করেছেন। উমার আগমনে আর বেশি সময় নেই। আর মাসখানেক পরেই আসবে মা দুগ্গা নিজের বাপের বাড়ি। ফের কাঠি পড়বে ঢাকে। সব মন খারাপ ভুলে উৎসবে মাতবে বাঙালি। আর তার আগে মা দুর্গা আগমনের আগেই পুজোর থ্রোব্যাক কিছু ভিডিও শেয়ার করেই যেন সেই নস্টালজিয়া খানিক উসকে দিলেন অভিনেত্রী।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

সম্প্রতি দুর্গাপুজোর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের ছোট্ট ক্লিপিংস নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সঙ্গে সকল অনুগামীর কাছে প্রশ্ন রেখেছেন, ‘তথাস্তু ভগবান বলে সত্যি কেউ আছে?’ এই কথা শুনে মনে হচ্ছে তো কে এই ‘তথাস্তু ভগবান’! অবশ্য এই প্রশ্নের উত্তর কোয়েল নিজেই জানালেন, আসলে অভিনেত্রী যখন ছোট ছিলেন তখন তিনি ছেলেবেলায় এই ‘তথাস্তু ভগবান’-কেই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন।

অদ্ভুত লাগলেও সত্যি। কোয়েলের দাবি, তিনি নিজের ছোটবেলা ‘রামায়ণ, মহাভারত দেখে বড় হয়েছেন। যখনই তিনি এগুলো দেখতেন তখনই এই দুই সিনেমার কোনো চরিত্র কিছু প্রার্থনা করছেন, তাতে কোনও একজন দেবতা বলছে ‘তথাস্তু’। মানেই সফল হয়ে যাচ্ছে। সে কারণেই তাঁর মনে হয় এই তথাস্তু বলে কোনো ভগবান আছে। তিনিও এই তথাস্তু ভগবানের কাছে ক্লাস ১-২-তে পড়ার সময় একটা আজব ইচ্ছে রেখেছিলেন।

যেটার কারণে পরবর্তীতে তার খুব মন খারাপও হয়েছিল । কোয়েল জানালেন, ‘প্রত্যেক বছর পুজোর আগে তিনি একটা চেকলিস্ট তৈরি করতেন। কী কী চাইবেন ভগবানের কাছে সেই লিস্ট। কোনও একবার একজন শিক্ষিকার কাছে বকুনি খেয়েছিলেম। দোষটা অবশ্য তাঁরই ছিল তিনি স্বীকার করেন। পরে দেখেছিলেন উনি আসছেন না অনেকদিন। মন খারাপ হয়ে গিয়েছিল অভিনেত্রীর। তারপর সেই ক্লাস ওয়ান বা টুতেই শিক্ষা পেয়েছিলেন, কারও ওপর যতই রাগ হোক না কেন, কখনও সেই রাগের জন্য তার খারাপ ভাবতে নেই। কারণ সত্যিই যদি খারাপ হয়, নিজেরই মনখারাপ লাগে। অন্তত অভিনেত্রীর খারাপ লেগেছিল। তিনি বলেন পৃথিবীতে সকলে নিজেদের মতো করে ভালো।’

মল্লিরবাড়ির পুজো প্রসঙ্গে স্মৃতিচারণায় কোয়েল আরো জানান, ‘ অভিনেত্রীর ছোড়দি তাঁকে ফ্রকের উপর শাড়ি পরিয়ে দিতেন। ছোড়দিকে তিনি আবার লিপস্টিক পরিয়ে দিতেন। অভিনেত্রীর মা তাঁকে আবার লিপস্টিক পরতে দিতেননা। বলতেন বড় হওয়ার পর পরবেন। দুই বোন মিলে ড়ির যারা বয়স্ক নীচে আসতে পারে না, তাঁদের ভোগ দিয়ে আসতেন৷’ অভিনেত্রীর এই মিষ্টি কনফেশন শুনে অনেকেই প্রশংসা করেছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই ভিডিও।

Advertisement

Related Articles

Back to top button