নিউজরাজ্য

থানায় অভিযোগ জানাতে এলে পরতে হবে নির্দিষ্ট পোশাক, ঘটনায় তুমুল হইচই

কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

Advertisement
Advertisement

থানায় অভিযোগ জানাতে গেলেও এবার হয়তো একটি নির্দিষ্ট ড্রেস কোড মেন্টেন করতে হবে। তা না হলে পুলিশের তরফ থেকে অভিযোগ নেওয়া হবে না। অলিখিতভাবে হলেও এরকমই নিয়ম চালু করে দিল কলকাতার অন্যতম হাই সোসাইটি এলাকা কসবার স্থানীয় পুলিশ স্টেশন। শর্টস বা হাফ প্যান্ট পরে যাওয়ার অপরাধে অভিযোগ না নেওয়ার মতো গুরুতর একটি অভিযোগ উঠল কসবা থানার বিরুদ্ধে। আর এই ব্যাপারটিকে নেট মাধ্যমে সরাসরি অলিখিতভাবে হলেও সমর্থন করলো কলকাতা পুলিশ। ফলে কলকাতা পুলিশের কাজের ধরন নিয়ে সত্যিই প্রশ্ন উঠেছে নেট মাধ্যমে।

Advertisement
Advertisement

গত ১৪ ই জুলাই বিকেলে কসবার বাসিন্দা বর্ণিক দত্তের বাড়ির ছোট কালী মন্দিরে কিছু জিনিস চুরি যায়। সেই অভিযোগ জানাতে বিকেল ছটা নাগাদ কসবা থানায় ছোটেন বর্ণিক দত্ত এবং তার সহকর্মী অভিশেক দে বিশ্বাস। কিন্তু কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে একটি অভূতপূর্ব সমস্যার মুখোমুখি হন এই দুজন। আসলে এরা জানতেন না, কসবা থানায় অভিযোগ লেখাতে গেলে একটি নির্দিষ্ট পোশাক বিধি মেনে চলতে হয়। হাফ প্যান্ট এবং টি শার্ট পড়ে অভিযোগ লেখাতে এলে অভিযোগ গ্রহণ করা হয় না।

Advertisement

অগত্যা বর্ণিক বাবুকে আবারো বাড়ি গিয়ে ‘সঠিক’ পোশাক পড়ে তারপর আবারো থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করতে হয়। কসবা থানা এই ঘটনায় বর্ণিক দত্তকে সাহায্য করলেও প্রশ্ন উঠেছে তাদের পোশাক বিধির ব্যাপারটি নিয়ে। কসবা থানার এই আচরণ নিয়ে সরাসরি কলকাতা পুলিশকে টুইটারে মেসেজ করেছিলেন তার বন্ধু অভিশেক দে বিশ্বাস। কিন্তু রিপ্লাই দেখে তারা আরও অবাক হয়ে যান। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে রিপ্লাই দেওয়া হয়েছিল, বা বলতে গেলে পাল্টা জানতে চাওয়া হয়েছিল, অভিশেক বাবু শর্টস পরে অফিসে যান কিনা? সেই কথোপকথনের স্ক্রিনশট তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করেছেন বন্ধু অভিশেক দে বিশ্বাস। সঙ্গেই তিনি জানতে চেয়েছেন কলকাতা পুলিশের কাছে, যে, কলকাতা পুলিশ কোন ভাবে কি পোশাক বিধি আরোপ করা শুরু করছে?

Advertisement
Advertisement

বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে তুমুল বিতর্ক নেট মাধ্যমে। কলকাতা পুলিশ এবং কসবা থানার বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য এসেছে। অভিষেক এবং বর্ণিক জানাচ্ছেন, তারা অত্যন্ত এমার্জেন্সির মধ্যে ছিলেন বলেই তারা হাফ প্যান্ট পড়ে চলে গিয়েছিলেন অভিযোগ জানাতে। কিন্তু, কসবা থানার এরকম আচরণে, এবং কলকাতা পুলিশের পাল্টা জিজ্ঞাসাবাদে তারা অত্যন্ত হতবাক। যদিও কলকাতা পুলিশের ডিজি রশিদ মনির খান জানিয়েছেন, ওই দুই যুবকের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশ।

Advertisement

Related Articles

Back to top button