ইভেন্ট

গণেশের পৌরাণিক উপাখ্যান!

Advertisement
Advertisement

অরূপ মাহাত: পুরাণে গণেশকে নিয়ে অনেক কাহিনীর প্রচলন রয়েছে। কার্যারম্ভ ও বিঘ্ন অপসারণকারী দেবতা হিসেবে পূজা করা হয় তাঁকে। পূজিত হন শিল্প ও বিজ্ঞানের পৃষ্ঠপোষক এবং জ্ঞান ও বুদ্ধির দেবতা রূপেও।

Advertisement
Advertisement

গণেশ-সংক্রান্ত এই সব পৌরাণিক কাহিনীগুলি পাওয়া যায় মূলত খ্রিস্টীয় ৬০০ অব্দের পরে লেখা আধুনিক পুরাণ গ্রন্থগুলিতে।

Advertisement

পুরাণ মতে, গণেশ হলেন শিব ও পার্বতীর পুত্র। তবে এক্ষেত্রে বিভিন্ন পরস্পরবিরোধী গল্পের উল্লেখ রয়েছে। একটি মতে শিব তাঁকে সৃষ্টি করেছিলেন। অন্যমতে তাঁকে সৃষ্টি করেছিলেন পার্বতী। আবার আরেকটি মতে, শিব ও পার্বতী দুজনে মিলে তাঁকে সৃষ্টি করেছিলেন।

Advertisement
Advertisement

গণেশের ভ্রাতা হলেন কার্তিক। তবে দুজনের মধ্যে কে বড়ো তা নিয়েও মতভেদ আছে। উত্তর ভারতে সাধারণত কার্তিককে বড়ো ও গণেশকে ছোটো ভাই মনে করা হয়। অন্যদিকে দক্ষিণ ভারতে গণেশই জ্যেষ্ঠভ্রাতা। দেবতা হিসেবে গণেশের গুরুত্ব অর্জনের আগে, খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দ থেকে ৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যুদ্ধদেবতা হিসেবে কার্তিক বিশেষ জনপ্রিয় ছিলেন। ৬০০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে উত্তর ভারতে কার্তিক পূজার গুরুত্ব কমে যায়। গণেশ ও কার্তিকের মধ্যে ভ্রাতৃসুলভ প্রতিদ্বন্দ্বিতার অনেক গল্পও পুরাণে পাওয়া যায়। সুদূর অতীতে গণেশ ও কার্তিক-পূজক সম্প্রদায় দুটির সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্ব এই সব গল্পগুলির জন্ম দিয়েছিল বলে মনে করা হয়।

প্রচলিত কাহিনী অনুসারে, একবার গণেশ ও কার্তিকের মধ্যে ত্রিভুবন পরিক্রমার একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। বিজয়ীর পুরস্কার ধার্য হয়েছিল জ্ঞানফল। কার্তিক তিন ভুবন পর্যটনে বেড়িয়ে পড়েন। কিন্তু গণেশ শুধু তাঁর বাবা-মাকেই প্রদক্ষিণ করেন। এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে গণেশ জানান, তাঁর পিতামাতা শিব ও পার্বতীই ত্রিভুবন। সেই জন্য গণেশকেই জ্ঞানফল দেওয়া হয়।

Advertisement

Related Articles

Back to top button