২০২১ এ দলের পারফরম্যান্স একেবারে তথৈবচ। অমিত শাহ ২০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা সেট করে দিয়ে গেলেও মাত্র ৭৭ আসনেই থেমে গেছিল বিজেপির জয়ের রথ। তারপর থেকেই বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া যেনো একটা রুটিনে দাঁড়িয়েছে, ঠিক যেমন ছিল ভোটের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া একটা রুটিনের মত। কিন্তু এতদিন বিজেপির ছোট নেতা এবং দলবদলুরা বেসুরো হলেও এবারে তাল কাটলো বিজেপির প্রধান নেতৃত্বের মধ্যেই। বেসুরো হলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দিয়ে তিনি নিজের বেসুরো হওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি করলেন।
বিষ্ণুপুরের সাংসদ বললেন, “বিজেপি ছাড়ার কোনো ব্যাপার নেই। অনেকগুলো মিডিয়া গ্রুপ ছিল। সেখান থেকে একটা গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেছি। এর সঙ্গে বিজেপি ছাড়ার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিজেপির একজন দায়িত্বশীল নেতা। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে অত্যন্ত শান্তিতে আছে। অনেকে যাব যাব করছেন। যারা তৃণমূল থেকে এখানে সুবিধা নিতে এসেছিলেন তারা ভোটে হেরেছেন। তারা দলের কোনো সম্পদ নন। তারা তৃণমূলে আবার যাবেন। এতে কোনো অসুবিধা নেই দলের।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে, জানিয়ে রাখা ভাল, সৌমিত্র কিন্তু নিজেও একটা সময় তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীকালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন এবং ২০১৯ সালের প্রবল বিজেপি ঝড়ের সময় বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভ করেন। কিন্তু, তারপর সমস্যা শুরু হয় তার ব্যক্তিগত জীবনে।
কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসেন তার স্ত্রী সুজাতা। স্ত্রীর তৃণমূলে যোগদানের পর সুজাতাকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। তবে দিন কতক হলো, বিজেপির অভ্যন্তরের বেশ কিছু নেতা ২০২১ সালে হারের জন্য বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বকে দায়ী করছে। যারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন তারা আবার তৃণমূলে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মধ্যে আবার আজকেই তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কালীঘাটে। আর খুব তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজকেই বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেছেন সৌমিত্র। তাহলে কি এবার সৌমিত্র বিজেপি ছেড়ে দিতে চাইছেন? বিজেপির প্রতি তার মোহভঙ্গ হয়েছে? রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।