Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

বেকারত্বের হার লাগামছাড়া, দ্বিতীয় ঢেউয়ে চাকরি খুইয়েছেন ১ কোটি মানুষ

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ অনেকের কাছেই অশনিসংকেতের মত এসেছে। এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশ। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বহু মানুষ। একদিকে স্বজন হারানোর দুঃখ, অন্যদিকে হাতে নেই কোনো…

Avatar

By

করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ অনেকের কাছেই অশনিসংকেতের মত এসেছে। এই দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছে দেশ। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বহু মানুষ। একদিকে স্বজন হারানোর দুঃখ, অন্যদিকে হাতে নেই কোনো কাজ। যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের ক্ষেত্রে এই লকডাউন এবং করোনা ভাইরাস একটি অভিশাপ। বহু মানুষের আর্থিক অবস্থা একেবারে তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে। করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রথমের থেকেও বেশি ভয়ানক ছিল অনেকের কাছেই।

সম্প্রতি সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি একটি পরিসংখ্যান রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল যেখানে দেখা যাচ্ছে করোনা ভাইরাসের কারণে এই লকডাউনকালে ১ কোটি মানুষ কর্মহারা হয়েছেন। আয় কমেছে ৯৭ শতাংশ পরিবারের। গত এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ছিল যেখানে ৮ শতাংশ সেখানে গত মে মাসে হয়েছে ১২ শতাংশ। ২০২০ সালের মে মাসে প্রায় ২৩.৫ শতাংশ মানুষ নিজের কাজ হারিয়েছিলেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

অত সংখ্যক মানুষ কাজ হারানোর ফলে ভারতে একটা বড়ো সংখ্যার জনগন হয়ে গিয়েছিলেন বেকার। বেকারত্বের হার একেবারে মাত্রাছাড়া দিয়ে উঠেছিল। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এবারের মে মাসের পরিস্থিতি একটু আলাদা। এই বেকারত্বের প্রধান কারণ হলো করোনাভাইরাস। যারা যারা চাকরি খুঁজছেন তারা কিভাবে আর চাকরি পাবেন সেটাই এখন চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রত্যেকটি কোম্পানি এখন নিজেদের কস্ট-কাটিং এবং কর্মী ছাঁটাই করা শুরু করে দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের লকডাউনের কারণে প্রত্যেকটি সংস্থার পরিস্থিতি খারাপ। তাই তারা নিজেদের কর্মী ছাঁটাই শুরু করে দিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞদের আশা, লকডাউন উঠে গেলে অর্থনীতি আবারও পুরনো জায়গায় ফিরে আসতে পারে।

তবে পরিসংখ্যানে কিছু ভালো খবর আছে। পরিসংখ্যান বলছে ৩ শতাংশ মানুষের আয় আগের থেকে অনেকটা বেড়েছে। ৪২ শতাংশ মানুষের আবার বক্তব্য গতবছর আর এই বছরের অবস্থা একেবারে সমান। অন্যদিকে, ৫৫ শতাংশ মানুষ বলেছেন নিজের আয় কমে গেছে। সব মিলিয়ে দেখতে গেলে করোনাভাইরাস মহামারী ভারতের জন্য একটি অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতি হিসেবে গণ্য হয়েছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য বৃদ্ধি, ভারতীয় অর্থনীতিতে ধস, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি, সবকিছুতেই প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করেছে করোনা ভাইরাসের কারণে হওয়া এই লকডাউন।

About Author