Today Trending Newsজীবনযাপনদেশনিউজস্বাস্থ্য ও ফিটনেস

বাতাসে ১০ মিটার পর্যন্ত ভেসে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস, মেনে চলুন কেন্দ্রের গাইডলাইন

বিজ্ঞানীরা বলছেন করোনাভাইরাস বর্তমানে ১০ মিটার পর্যন্ত বাতাসে ভেসে থাকতে পারে তাই সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে আপনাকে নিজেকে

Advertisement
Advertisement

করোনা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে, এটা অনেকদিন ধরেই আপনারা জানেন, কিন্তু এবারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে কিভাবে এই এয়ার বর্ন করোনা বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আছি এবং কাশি থেকে বের হওয়া বড় বড় জলকণা বাতাসেঅত্যন্ত সূক্ষ্ম জল কণায় পরিণত হয়ে গিয়ে ভাইরাস ট্রেন অনেক দূর অব্দি ছড়িয়ে দিতে পারে। ভাইরাস অন্তত এই সমস্ত জল কণার মাধ্যমে মোটামুটি ১০ মিটার পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। বড় জলকণা বা ড্রপলেট সর্বাধিক যেতে পারে ২ মিটার পর্যন্ত কিন্তু ছোট জলকণা ১০ মিটার অব্দি যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

Advertisement
Advertisement

গবেষকরা জানাচ্ছেন, ছোট জায়গায় কিংবা ভিড়ের মধ্যে যদি পারস্পরিক দূরত্ব ৬ ফুটের কম থাকে তাহলে ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। হাওয়াই বেশি বেশি যে কোন পার্টিকল শরীর থেকে অন্য শহরে পৌঁছে গিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ করে ফেলতে পারে। এর ফলে সচেতন থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই নিয়ে বেশকিছু গাইডলাইন জানানো হয়েছে আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই গাইডলাইন।

Advertisement

অ্যারোসল বা ড্রপলট ট্রান্সমিশন – 

Advertisement
Advertisement

হাঁচি বা কাশির সময় যে জল কণা নির্গত হয় তার মধ্যে কিন্তু ভাইরাল স্ট্রেন মিশে থাকতে পারে এবং এই জলকণা যখন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে তখন সেটাকে বলে এয়ার ড্রপলট। এই জিনিসটি বাতাসে যত বেশি ভাসবে ততক্ষণ ভাইরাস বাতাসে টিকে থাকতে পারবে। এই সমস্যা বড় বড় জলকণা মাধ্যাকর্ষণ এর টানে খুব একটা বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে না। তবে যেগুলো ছোট জলকণা রয়েছে তারা কিন্তু অনেকক্ষণ বাতাসে ভেসে থাকতে পারে। হাঁচি বা কাশির সময় তৈরি হয় বড় জলকণা কিন্তু যদি আপনি কথা বলেন তাহলে ছোট জলকনা তৈরি হবে। এইগুলি বর্তমানে বেশি এয়ারবোর্ন।

সারফেস ট্রান্সমিশন – 

বিভিন্ন পদার্থের উপরে ভাইরাস পার্টিকল অনেকক্ষণ টিকে থাকতে পারে। দরজার হাতল, সিঁড়ি, সুইচ, আসবাবপত্র জাতীয় বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। মসৃণ সারফেসের উপরে অনেক বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাস টিকে থাকার সম্ভাবনা থাকে।

করোনা টেস্টিং –

যেখানে যেখানে কনটেইনমেন্ট জোন এবং করোনা আক্রান্তের পরিমাণ বেশি সেখানে সেখানে টেস্টিং এর পরিমাণ বেশি করতে হবে। স্থানীয় আশা কর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের এই টেস্টিং নিয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সংক্রমিতদের নিয়মিত চেকআপ করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সঙ্গে খোলামেলা জায়গায় থাকুন তাহলে বিপদ কমবে। বেশি ভিড় জায়গায় গেলে, অথবা যেখানে এসি চলছে সেখানে গেলে আপনার সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।

মাস্ক পড়ুন – 

যদি আপনি বাইরে কোথাও যান তাহলে অবশ্যই কিন্তু মুখে মাস্ক রাখবেন। বর্তমানে ডবল মাস্কিং ব্যবহার করুন অর্থাৎ দুটো করে মাস্ক পরুন। ভিতরের মাস্ক সার্জিক্যাল মাস্ক এবং তার ওপরে একটি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করুন। যদি আপনি দুটো মাস্ক একসাথে পড়েন তাহলে ভাইরাসের কোন আর দুটো ফিল্টার ভেদ করতে পারবে না এবং আটকে যাবে ফলে আপনার সংক্রমণের সম্ভাবনা কম।

Advertisement

Related Articles

Back to top button