Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

নারদ কান্ডে ‘গ্রেফতার’ ফিরহাদ! মদন-শোভন-সুব্রতকে তুলে আনা হল CBI অফিসে

বিনা নোটিশে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেপ্তার করে সিবিআই

Advertisement
Advertisement

সাতসকালে গ্রেফতার করা হল তৃণমূলের চার নেতাকে। নারদ কান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিছুক্ষণ আগেই বিনা নোটিশে সিবিআই গোয়েন্দারা ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে পৌঁছে যান। তারপর তার সঙ্গে কথাবার্তা বলেন গোয়েন্দারা। তারপরই গ্রেফতার করা হয় তাকে। তার বাড়ির বাইরে পরিকল্পনা করেই বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ান মজুদ রাখা হয়। ফিরহাদ হাকিম ছাড়াও গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে।

Advertisement
Advertisement

তবে এখানে প্রশ্ন উঠেছিল যে স্পিকারের অনুমতি ছাড়া কি করে কোন বিধায়ককে গ্রেপ্তার করা যায়। এই বিষয়ে সিবিআই জানিয়েছে যে তারা রাজ্যপালের কাছে এ বিষয়ে তদন্তের স্বার্থে অনুমোদন চেয়েছিল। নারদ কান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফিরহাদ হাকিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যপালের কাছে ৪ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তের অনুমতি চাওয়া হয়। তবে যেহেতু ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্র বিধায়ক তাই তাদের গ্রেফতার করার অনুমতি চাওয়া হয় বিধানসভার স্পিকারের কাছে। তদন্তের স্বার্থে অনুমতি দিয়ে দিয়েছিলেন স্পিকার।

Advertisement

আজ সকালে আচমকাই মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই এর একটি দল। তাদেরকে সিবিআই দপ্তর এ নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে অন্য একটি দল বিনা নোটিশে ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে হাজির হয়। তার বাড়িতে জটলা হতে পারে এই আশঙ্কায় বাড়ির বাইরে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। সেখানে মিনিট ১৫ কথা বলার পর তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই দপ্তর এ নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement
Advertisement

এছাড়া এই বিষয়ে সিবিআই বলেছে, নারদ মামলায় চার্জশিট চূড়ান্ত হওয়ার আগেই হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আর তার জন্যই তারা তৃণমূলের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। ফিরোজা কিমের বাড়ির বাইরে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পথ আটকে বিক্ষোভ দেখায় সাধারণ মানুষ। বাহিনী তৎপরতায় বিক্ষোভ হটিয়ে তাকে সিবিআই দপ্তর এ নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া তৃণমূলের বর্ষিয়ান নেতা সৌগত রায় বলেছেন, “মোদী শাহের নির্দেশে সব হচ্ছে। আদালতে মোকাবিলা হবে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক কাজ হচ্ছে এখন। নির্বাচনে হেরে গেছে বলে এইসব করছে। সিবিআই তো খাঁচাবন্দি তোতা।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button