একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে ২১৩ আসন পেয়ে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মসনদে বসেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। অন্যদিকে বিজেপি মাত্র ৭৭ আসন পেয়েছেন। কিন্তু বিজেপির কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। বলা যেতে পারে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ২০ বছর পর তিনি ফের বিধানসভায় জিতলেন। প্রথমবার বিধায়ক হলেন তিনি। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে মুকুল রায় এই অবস্থাতেও সম্পূর্ণ নীরব। এমনকি বঙ্গ বিজেপির ফলাফল নিয়ে যেখানে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে সেখানে কোনো কথাই বলতে রাজি হননি তিনি। আজ শুক্রবার তিনি বিধানসভায় শপথ বাক্য পাঠ করেও নিরাপত্তাকে সঙ্গী করেই প্রস্থান করলেন। সেইসাথে সাংবাদিকদের যা বললেন তাতে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতি জুড়ে।
মুকুল রায় আজকে বিধায়ক হিসেবে শপথ গ্রহণের পর বলেছেন, “আমি আজ কিছু কথা বলবো না। যেদিন বলার সেদিনই সবাইকে ডেকে আমি বলব।” স্বভাবতই এই কথার পর বঙ্গ রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। অনেকেই মনে করছেন যে মুকুল রায় হয়তো ফের ঘাসফুল শিবিরে ফিরে আসতে পারেন। এমনকি জল্পনা বাড়িয়ে মুকুল রায় আজকে বিজয়ী বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির পরিষদীয় দলের যে বৈঠক আছে তাতে উপস্থিত থাকছেন না। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে মুকুল রায়ের দীর্ঘদিনের নিরাবতা ও আজকের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা রীতিমতো দলবদলে ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএছাড়াও আজকে বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করার পর তিনি তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। অন্যদিকে আবার নির্বাচনের আগে মুকুল রায়ের প্রতি গলার সুর নরম ছিল খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছিলেন, “শুভেন্দুর থেকে মুকুল ভালো। অন্তত বিশ্বাসঘাতকতা করে নি, এরা যা করছে।” এখান থেকে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি মুকুল রায়ের দলের প্রতি গোঁসা হয়েছে? ফিরবেন কি আবার তৃণমূলে?