একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তৃতীয়বারের মতো বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের শাসনভার নিজের কাঁধে তুলে নেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে তিনি আগামী ৫ মে বুধবার সকাল পৌনে ১১ টায় রাজভবনে শপথগ্রহণ করবেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই তিনি রেড রোডে বিজয় মিছিল বা অন্যান্য শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান করবেন না। তাই রাজভবনে সীমিত সংখ্যক অতিথি নিয়ে শপথ গ্রহণ করবেন বঙ্গবাসীর পছন্দের “বাংলার মেয়ে”।
তবে বেশি কেউ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত না থাকলেও জানা যাচ্ছে আগামীকাল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তবে তার শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি আসতে পারবেন না বলে এখন থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আগামীকাল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট তথা বাংলার ২২ গজের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলীকে। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তিনি আদৌ আসবেন নাকি সেই নিয়ে এখন অব্দি কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএছাড়াও আগামীকালের শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য ও প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তৃণমূলের পক্ষ থেকে মমতার সাথে উপস্থিত থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, প্রশান্ত কিশোর। এছাড়া তারকা সাংসদ দেবকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এরকম ছোটখাটো কয়েকজনের মধ্যেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা হবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিজেপির মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশা করা হলেও শেষ পর্যন্ত গেরুয়া শিবির দুই অঙ্কের গণ্ডি অতিক্রম করতে পারেনি। অন্যদিকে তৃণমূল ২০০ এর বেশি আসন নিয়ে আবারও বাংলার মসনদে বসছে। তবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হেরে গিয়েছিলেন। তাহলে প্রশ্ন উঠছে তিনি কি করে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ করবেন? বিধায়ক না হয়ে কি করে মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যায়? আসলে সংবিধান অনুযায়ী এখন মমতার শপথগ্রহণ করতে কোনো বাধা নেই। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ মাসের মধ্যে বিধায়ক হতে হবে।