Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

৩ হাজার করোনা রোগী হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ, চরম বিপাকে এই রাজ্য

এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতবর্ষের বুকে। গত ২৪ ঘন্টায় গোটা ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। এই ভাইরাসের নতুন মিউট্যান্ট…

Avatar

এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে ভারতবর্ষের বুকে। গত ২৪ ঘন্টায় গোটা ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ। এই ভাইরাসের নতুন মিউট্যান্ট স্ট্রেন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। এমনকি এই স্ট্রেনের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গেছে। একাধিক রাজ্যে হাসপাতালের বেডের অভাব দেখা গেছে, আবার কিছু রাজ্যে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা গেছে। সেই সাথে আবার আগামী ১ লা মে থেকে টিকাকরণ শুরু হওয়ার কথা রইল অনেক রাজ্যেই এখনো পৌঁছায়নি টিকা। এরকম সংকটময় পরিস্থিতিতে গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা রোগীদের হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া। কর্নাটকে হাসপাতলে ভর্তি হওয়া কয়েক হাজার রোগী সেখান থেকে পালিয়ে গেছে। তাদেরকে খুঁজতে ঘাম ছুটছে প্রশাসনের।

জানা গিয়েছে, কর্নাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালুরুতে নিখোঁজ হয়ে গেছেন প্রায় ৩ হাজার করোনা রোগী। তাদের সবার মোবাইল সুইচ অফ করা আছে। তাদেরকে খুঁজে না পেলে কর্ণাটক রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রের মত হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ৩ হাজার রোগী যদি শহরের মধ্যে ঘুরে সংক্রমণ ছড়ায় তাহলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। তাদেরকে খোঁজার জন্য কালঘাম ছুটছে স্বাস্থ্যকর তা এবং পুলিশ প্রশাসনের। পুরো ব্যাঙ্গালোর শহরে ওই করোনা রোগীদের হন্যে হয়ে খোঁজা শুরু করা হয়েছে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কর্ণাটক রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে ব্যাঙ্গালোর শহরে। কর্নাটকে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯০৪৭ জন। কিন্তু তার মধ্যে শুধুমাত্র ব্যাঙ্গালোর শহর থেকে আক্রান্ত হয়েছেন ২২৫৯৫ জন। তার মধ্যে থেকে ৩ হাজার করোনা আক্রান্ত নিখোঁজ হয়ে গেছেন। এই পরিস্থিতিতে তারা পুরো শহরের করোনা পরিস্থিতি পাল্টে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। শ্রীমতি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয়েছে।

ঘটনা প্রসঙ্গে কর্নাটকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর জানিয়েছেন, “করোনা রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়া নতুন কোন ঘটনা নয়। এর আগের বছর ঠিক এরকম হয়েছিল। তারা তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেওয়ায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। হয়তো আগামী সপ্তাহে সংক্রমণে বাঁধ দিতে রাজ্যজুড়ে ১৪ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে।”

About Author