স্টার জলসায় বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল আপকামিং বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা’-র টিজার। এতদিন জানা যায়নি এই ধারাবাহিকের চরিত্রায়ণ। তবে গত 23 শে এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে পর্দা উঠতে শুরু করেছে ‘শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা’-র স্টারকাস্ট-এর উপর থেকে। সেখানে মীরাবাঈ-এর রূপে ধরা দিলেন দেবাদৃতা বসু (Debadrita basu)। সম্প্রতি শেষ হয়ে গিয়েছে জি বাংলার সিরিয়াল ‘আলো-ছায়া’। সেই সময় দেবাদৃতা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নতুন কিছু শুরু হওয়ার। এবার মিলে গেল দেবাদৃতার ইঙ্গিত। অপরদিকে দীর্ঘদিন পরে টেলিভিশনের পর্দায় ফিরতে চলেছেন ‘ভুতু’ আর্শিয়া মুখোপাধ্যায় (ashiya mukhopadhyay)। আর্শিয়া অভিনয় করবেন বালিকা মীরাবাঈ-এর চরিত্রে। পর্দা উঠেছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রের উপর থেকেও। শ্রীকৃষ্ণের চরিত্রে অভিনয় করছেন প্রারব্ধি সিংহ (prarabdhi sinha)। এর আগে তিনি ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’ ধারাবাহিকে শুভ-র চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
এর আগেও মীরাবাঈ-এর জীবন নিয়ে হিন্দিতে একাধিক ধারাবাহিক ও ফিল্ম তৈরী হয়েছে। তাঁর জীবন নিয়ে এখনও অবধি গবেষণা হয়। মীরাবাঈ-এর ভজন সঙ্গীতজগতে অনন্য স্থান দখল করেছে। বলিউডে মীরাবাঈ-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হেমা মালিনী (Hema malini)।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকিন্তু কে এই মীরা? যোধপুরের প্রতিষ্ঠাতা মান্দোরের রাও যোধার পৌত্রী ছিলেন রাজকুমারী মীরা। একসময় রাণা ভোজরাজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হলেও মীরা কোনোদিন মন থেকে ভালোবাসতে পারেননি ভোজরাজকে। কারণ শৈশবে তিনি শ্রীকৃষ্ণকে তাঁর স্বামী বলে মেনে নিয়েছিলেন। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে বিধবা হয়ে মীরা বৃন্দাবনে চলে যান। সেখানে রবিদাসের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেছিলেন মীরা। নিজের জীবদ্দশায় শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে প্রায় তেরোশো ভক্তিগীতি লিখেছেন মীরা যেগুলি সঙ্গীত ঘরানার মীরার ভজন নামে পরিচিত। কিন্তু দেশে শুরু হয় ভক্তি আন্দোলন। ভক্তি আন্দোলনের সমসাময়িক সময়ে মীরাবাঈ-এর মৃত্যু নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে কারণ ঐতিহাসিকদের মতে, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। 1547 সালে দ্বারকায় তাঁর মৃত্যু হয়। মীরাবাঈ-এর কাহিনী অবলম্বনে নির্মিত ‘শ্রীকৃষ্ণভক্ত মীরা’ খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে স্টার জলসার পর্দায়।