একুশে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে বাংলায়। ইতিমধ্যেই রাজ্যে চার দফা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আর বাকি চার দফা নির্বাচন। তবে চতুর্থ দফা নির্বাচনে শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৪ জন মানুষকে গুলি করার ঘটনা প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তাল গোটা বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করে বলেছেন যে এই হত্যালীলা শাওন নির্দেশে হয়েছে। শীতলকুচি ঘটনা একটি নৃশংস গণহত্যা। আবার এরই মাঝে নির্বাচন কমিশন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৪ ঘন্টার জন্য প্রচার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে গতকাল। তাদের দাবি মমতা তাদের শোকজের উত্তর দেয়নি ঠিক করে। মমতাকে নির্বাচনী প্রচার থেকে ২৪ ঘন্টার জন্য ব্যান করায় কার্যত নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে।
তবে এবার নির্বাচন কমিশন মমতার পর বিজেপি নেতা রাহুল সিনহাকে আজ আগামী ৪৮ ঘন্টার জন্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আসলে রাহুল সিনহা গতকাল শীতলকুচি ঘটনা প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “শীতলকুচিতে চারজন নয়, আট জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল। আর কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী তা করেনি, তার জন্য তাদের শোকজ করা উচিত। কেন্দ্রীয় বাহিনী যা করেছে, ঠিক কাজ করেছে। এছাড়া ১৮ বছরের যে যুবককে গুলি করে মারা হয়েছে তার সম্বন্ধে কথা বলছেন না কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? মমতা মস্তানরাজ কায়েম করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরাহুল সিনহার এই বক্তব্যের পর নির্বাচন কমিশন স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তাকে আগামী ৪৮ ঘন্টার জন্য নির্বাচনী প্রচার করতে নিষেধ করেছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “রাহুল সিনহার মন্তব্য মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ করেছে। পাশাপাশি এই মন্তব্যের জেরে রাজ্যে আইন পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। রাহুলের এমন মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও এই মন্তব্যের মাধ্যমে সে তার দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে।”