নিউজপলিটিক্সরাজ্য

বুথের আসেপাশে থাকবে না রাজ্য পুলিশ, নির্বাচনে থাকবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী

শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন

Advertisement
Advertisement

এবারের নির্বাচনের জন্য বেশ কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা পরিচালিত হবে এবারের নির্বাচন। ২০২১ এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন অত্যন্ত হাইপ্রোফাইল হতে চলেছে। একের পর এক আসনের জন্য লড়াই হবে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। তার সাথেই রয়েছে বাম, কংগ্রেস এবং আই এস এফ এর সংযুক্ত মোর্চা। ইতিমধ্যেই প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের প্রচারে নেমে পড়েছে। রাজনৈতিক হিংসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না এবারের নির্বাচনে। তাই, এবারের নির্বাচনের দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে আরোপিত হলো কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপরে।

Advertisement
Advertisement

এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিটি বুথের ভেতরে এবং বাইরে নজরদারি দায়িত্বে থাকবেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটের বুথ থেকে ১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। সাধারণত রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে একজনকে রাখা হয় পোলিং বুথের ভেতর। কিন্তু এবারে সেই নীতি সম্পূর্ণরূপে বদল হতে চলেছে। এবারের নির্বাচনে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী কাজে লাগানোর কথা বলেছিলেন বিজেপি নেতারা। কার্যত সেই আরজিকে সমর্থন করে নিজেদের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।

Advertisement

প্রথম দফায় জঙ্গলমহলে হতে চলেছে ভোট। যে সমস্ত জায়গা গুলি মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল সেই সমস্ত এলাকায় সেক্টর অফিসগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও রাজ্যে সশস্ত্র পুলিশ থাকবেন কুইক রেসপন্স টিমে ৮ জন করে। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুশির হাওয়া বিজেপি দপ্তরে। বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলার মানুষ এটাই চাইছে। আমরা মানুষের এই দাবিটা নির্বাচন কমিশনের কাছে তুলে ধরলাম। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানো সবথেকে ভালো। রাজ্য পুলিশের উপর বাংলার মানুষের আর কোনো আস্থা নেই। কারণ এখানে পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূল কংগ্রেস এক হয়ে গেছে।”

Advertisement
Advertisement

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এর তরফ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বললেন, “বিস্তারিত এখনো কিছু জানি না। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেভাবে কমিশন মোতায়েন করবে, সেভাবেই চলবে। কিন্তু নিয়মমতো রাজ্য সরকারের পুলিশ সেখানে থাকার কথা। যদি সেটা না হয় তাহলে আমরা নিরাপত্তা কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবো। নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকলে তাকে আরও করেছে জানি না। নির্বাচন কমিশন কিন্তু কখনোই নিয়ম-নীতির উর্ধে চলে যায় না। তাই যদি সেরকম কিছু করে তারা, তাহলে আমরা অভিযোগ জানাবো।”

Advertisement

Related Articles

Back to top button