ব্রিগেড মানেই লালে লাল। কিন্তু এইবার দেখা গিয়েছে কিছু অন্য ছবি কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে। এইবার দেখা যাচ্ছে লাল পতাকার মাঝে তেরঙ্গাও উড়ছে। আর সবথেকে ব্যতিক্রমী হল লাল শিবিরের ব্রিগেডে এইবার পিরজাদা আব্বাস সিদ্ধিকির (Abbas Siddiqui) দলের পতাকা। নীল-সবুজ-সাদা পতাকাও ভালো মাত্রায় দেখা যাচ্ছে এইদিনের লাল ব্রিগেডে। আসলে এইবার ব্রিগেড সমাবেশ ব্যতিক্রমী তার কারণ, এইবার হরেক রঙের মিলন দেখতে পাওয়া গিয়েছে এইব্রিগেডে। এই কথায় রঙের মিলন ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ব্রিগেড। তাই লালের উপস্থিতির সাথে সাথে দেখা গিয়েছে নীল, সাদা, সুবুজ এবং গেরুয়া রঙেরও সমারোহ। মঞ্চে লেখা আমরাই বিকল্প, আমরাই ধর্ম নিরপেক্ষ, আমরাই ভবিষ্যৎ।
তবে বাম সমর্থকদের কাছে এটি কতটা স্বস্তি দেবে তা বলে দেবে ভবিষ্যৎ। তবে এইবারের ব্রিগেড থেকে যে মহাজোটের বার্তা স্পষ্ট তা বিলক্ষণ বোঝা যাচ্ছে। এইবারের লড়াই হবে সম্মিলিত। ব্রিগেড থেকে তাই জোট কতটা সজীব হয়ে উঠবে, তাই এখন দেখার বিষয়। তবে কেবল অক্সিজেন নয়, এই ভিড়কে কতটা ভোট বাক্সে নিয়ে যেতে পারবে এই জোট, তাও রাজনৈতিক দিক থেকে বিচার্য।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএবারের ব্রিগেড থেকে এই জোটকে কী নামে অভিহিত করা হয়, সেদিকেও লক্ষ্য থাকবে। এবার বামেদের ব্রিগেডে কংগ্রেস ও আইএসএফ সমর্থকদের উপস্থিতি এই জোটের প্রচারকে তুঙ্গে তুলতে পারে কি না দেখার। কেননা এবার ব্রিগেড কিন্তু গতবারের মতো মাত্রা পাচ্ছে না। এবার চমকদার মুখ থাকছে না সে অর্থে। এবারের ব্রিগেডে থাকবেন বমান বসু-সহ বাম নেতা-নেত্রীরা, থাকবেন অধীর চৌধুরী-সহ প্রদেশ কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা। আর থাকবেন আব্বাস সিদ্দিকি। কিন্তু থাকবেন না রাহুল (Rahul Gandhi), সোনিয়া (Sonia Gandhi), প্রিয়াঙ্কার গান্ধীর (Priyanka Gandhi) মতো কোনও নাম। থাকবেন না তেজস্বী যাদবও। ফলে বামেদের ব্রিগেডের সফলতা নিয়ে একটা প্রশ্ন থেকেই যাবে।