চোখের জলের সাথে বাম যুবকর্মীকে শেষ বিদায় জানালেন কোতুলপুরের বাকি কর্মীরা। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ দেখা মেলেনি বাংলার প্রশাসনের। ডিওয়াইএফআই নেতৃত্বকে নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে কমরেডের পরিবার। আজ মইদুলের মৃত্যুর ঘটনায় জেলায় জেলায় বামেদের থানা ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে। অন্যদিকে মইদুলের স্ত্রী-মেয়েসহ পরিবারের সকালেই এখন চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)ঘোষণা অনুসারে প্রশাসনের লোকেরা এসে তাদের কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করুক।
পরিবারের লোকেদের মতে তথা তাদের বক্তব্য, যতক্ষন বাংলার প্রশাসনের পক্ষ থেকে অর্থাৎ তাদের লোকেরা এসে চাকরির ব্যবস্থা করছেন বা তার লিখিত আশ্বাস দিচ্ছেন, ততক্ষণ সমাধিস্থ করা হবে না মইদুলের দেহ। সব কিছু মিলিয়ে মৃতের বাড়িতে বেড়েছে উত্তেজনা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowপ্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মইদুলের মৃত্যুতে বিচারবিভাগীয় তদন্ত চায় সিপিএম তথা বাম শিবির। দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লাল শিবির। ময়নাতদন্ত নিয়ে পুলিস যে বয়ান দিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট নয় বামেরা। তাদের দাবি, পুলিশের বিরুদ্ধেই যখন অভিযোগ, তখন পুলিশ কেন তদন্ত করবে? পুলিস কমিশনার-সহ একাদিক উচ্চপদস্থ অফিসারের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত। এখানেই থেমে নেই, পুলিশকর্মীর ওপর হামলার কারণে পালটা এফআইআর দায়ের করেছে তালতলা থানার পুলিশ।
বলা বাহুল্য, গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”মৃত্যু সব সময় দুঃখের হয়। আমি সকালে সুজন চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলাম। আমি বলেছি, কিভাবে মারা গিয়েছে সেটা পোস্ট মর্টেম হওয়ার পরে বোঝা যাবে। ওরা পুলিশে কোনও অভিযোগ করেনি। বাড়ির লোককেও জানানো হয়নি ২ দিন আগে। আমি সুজন চক্রবর্তীকে বলেছি, পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি তাদের একজন সদস্যকে চাকরি দিতে রাজি আছি। আর্থিক সাহায্য করতেও রাজি আছি।”