Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

১২ ঘন্টার বাংলা বনধে মানুষের অসুবিধার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী বামেরা, হুঁশিয়ারি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার

গতকাল বাম যুব ছাত্র সংগঠনের নবান্ন অভিযান পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে আজ শুক্রবার বামেরা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ ডেকেছিল। তবে কাল থেকে সন্দেহ ছিল আদেও এই বনধ কতটা সক্রিয়…

Avatar

গতকাল বাম যুব ছাত্র সংগঠনের নবান্ন অভিযান পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হতে আজ শুক্রবার বামেরা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ ডেকেছিল। তবে কাল থেকে সন্দেহ ছিল আদেও এই বনধ কতটা সক্রিয় হতে পারবে। আজ সকাল থেকে শহর কলকাতার দৃশ্যটা ছিল সম্পূর্ণই আলাদা। সকালেই মৌলালি মোড়ে ধর্মঘটীদের তান্ডব দেখা গেল। তারা গোটা রাস্তা জুড়ে টায়ার ও খড় জ্বালিয়ে বাস আটকানোর চেষ্টা করেছিল। সেই বিক্ষোভের জেরে মৌলালির মত ব্যস্ততম রাস্তা বন্ধ ছিল প্রায় ১৫-২০ মিনিট। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়াও যাদবপুর সহ একাধিক অঞ্চলে রেল অবরোধ হয়। কলকাতা ছাড়াও বিভিন্ন জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসে।

অবশেষে দিন শেষে বনধ সম্পন্ন হলে আমজনতার নাজেহাল পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেয় সিপিএম নেতারা। সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেছেন, “মানুষের অসুবিধার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। তবু সব মানুষ যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বনধ পালন করেছে তাতে আমরা গর্বিত।” এছাড়াও এদিন তিনি কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

আসলে আজ সকাল থেকেই কলকাতা ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কার্যত দাপিয়ে বেড়িয়েছে বাম সমর্থক ও বাম যুব ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। গতকালের নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে জবাব দিতে গিয়ে তারা আজ নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। মালদহের বিভিন্ন এলাকায় জোর করে তারা দোকান বন্ধ করে দেয় এবং টোটোতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এছাড়াও কলকাতার বুকে এন্টালী থেকে কলেজ স্ট্রিট অব্দি অঞ্চলে জোর করে দোকান বন্ধ করে দেয়। যাদবপুর 8b বাস স্ট্যান্ডের সামনে তারা পথ অবরোধ করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে। এমনকি তবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে তালা ঝুলিয়ে নতুন করে আন্দোলনের অক্সিজেন যোগায়। বনধ এর পর তারা মহিলা কমিশন, মানব অধিকার কমিশন ও আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে সবকিছুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গলায় সুর তুললেও এই মুহূর্তে রাজ্যপাল নীরব কেন?

About Author