ওয়াশিংটন ডিসি: ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের তাণ্ডবের পর গোটা বিশ্বের কাছে লজ্জায় মাথা কাটা গিয়েছে আমেরিকার। আর এর জন্য বিদায়ী প্রেসিডেন্টকেই দায়ী করেছেন মার্কিন কংগ্রেস ও সেনেটের সদস্যরা। ট্রাম্পকে শায়েস্তা করতে একজোট হয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। তাঁর উপর চাপ বাড়াতে হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সাফ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে দ্রুত ইস্তফা না দিলে ট্রাম্পকে ফের ইমপিচ করা হবে। এর মাঝেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে একটি আপডেট বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিয়েছে। ওই ওয়েবসাইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে লেখা রয়েছে এবং তাঁদের পদত্যাগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
যেখানে ইমপিচমেন্ট প্রসঙ্গে ট্রাম্প দাবি করছেন, যেন-তেন ভাবে তাঁকে অপরাধী সাব্যস্ত করার চেষ্টা চলছে, দেশের ইতিহাসে যা নজিরবিহীন। তাঁকে ইমপিচের প্রস্তাব হাস্যকর বলেও উড়িয়ে দিয়েছেন। ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টে সায় নেই ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের। মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে বিরোধী নেতাদের তিনি এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তখনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইটে তাঁর পদত্যাগের খবরটি ফুটে উঠেছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowওয়েবসাইটে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্টের প্রোফাইলে নিয়ে তথ্য দিতে গিয়ে বলা হয়েছে দু’জনরেই কার্যকাল ১১ জানুয়ারি শেষ হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন সরকার আসলেই এটি আপডেট হবে।
তবে পরে আসল সত্যটি মার্কিন গণমাধ্যমের সামনে উঠে আসে। জানা যায় বিদেশ মন্ত্রকের কোনও এক কর্মচারী এই আপডেট করেছেন, যিনি বর্তমান প্রশাসনের কার্যক্রমে ভীষণ ভাবে ক্ষুব্ধ। এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মাইক পেন্স কেউই নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেননি। দু’জনের কার্যকালের মেয়াদ ২০ জানুয়ারি শেষ হবে, তাই এখনই ইস্তফা দেওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না।
এদিকে ওয়েবসাইটে ট্রাম্পের পদত্যাগের খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে তাতে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করবেন। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যে তিনি সন্তুষ্ট নন, তা আগে বহুবার ব্যক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও মসৃণ ও সুশৃঙ্খল ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরই এখন তাঁর লক্ষ্য সেকথাও বলেছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। তবে নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট এড়িয়ে যাচ্ছেন।