বাংলার সর্ব স্তরে যে উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে তা আড়াল করতে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে রাজ্যের পদ্ম শিবির। শুক্রবার হওয়া সাংবাদিক সম্মেলনে পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে এই ভাবেই তপ দাগতে দেখা গেল রাজ্যের শাসক দলের অন্যতম নেতা তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই দিন সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়(Partha Chatterjee) অভিযোগ আনেন,”বাংলাকে নিরন্তর পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের উপেক্ষা এবং অবহেলা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার উদ্যোগ নিচ্ছে সাহসিকতার সাথে। যা যা উদ্যোগ নিচ্ছে, তাতেই বাঁধা দিচ্ছে বিজেপি।” এইদিন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেন,”ওদের কোনও নির্দিষ্ট কর্মসূচি নেই। সকালে চা খেতে খেতে কি ভাবে বাংলার ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিতে কালি মাখাচ্ছে তারই চর্চা চলছে।”
এইদিন শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্য প্রশাসন মানুষের দরজায় গিয়ে শুনছে তাদের সমস্যার কথা। কেবল রাজ্য উন্নয়নের রূপরেখা নয়, তা শুধরাতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার। মন্ত্রী এইদিন দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সেই বিষয়ে বলতে গিয়ে এইদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,”কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায়নি এই রকম ভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে কার্ড নিতে।”
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowরাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে একের পর এক বাঁধা সৃষ্টি করছে বিজেপি শিবির, এমনটাই এইদিন অভিযোগ আনেন পার্থ। তার বক্তব্য,”বিরোধীদের কোনও অ্যাজান্ডা নেই। কেবল উন্নয়নের পথে ব্যাঘাত ঘটানোর প্রচেষ্টা। কেউ উন্নয়নের কথা বলেন না। অপসংস্কৃতির ধারাপাত রচনা করা হচ্ছে। আর খবরে ভেসে থাকতে বিরোধীরা করছে চক্রান্ত।
একই অভিযোগ তিনি তাদের বিরুদ্ধেও এনেছেন যারা দল পরিবর্তন করছেন। তার কথায়,”সারা দেশের তুলনায় বেকারত্ব কমেছে বাংলায়। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করা গিয়েছে। যারা দল পরিবর্তন করেছেন তাদের কোনও অ্যাজেন্ডা নেই।”
এইদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত আনতে দেখা যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে। তিনি বলেন,বিজেপি বাইরে থেকে এসে ভুল তথ্য দিয়ে ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা করছে। তা ছাড়া, সংবিধানের ওপর আঘাত ও আনা হচ্ছে। এইদিন পার্থ আরও অভিযোগ করেন, গণতান্ত্রিক বাহুবলের দ্বারা অভীষ্ট সিদ্ধি করার কৌশল তৈরি করেছে বিজেপি। বাংলা এগিয়ে যাবে এবং রাজ্যের মানুষ সাথে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।