Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

তবে কি এবার পাড়ায় পাড়ায় রাজ্যপাল? সোমবার বেহালায় গিয়ে চণ্ডী মন্দিরে পুজো দিলেন জগদীপ ধনখড় 

তিন দিন আগে বেহালা শখের বাজারে গিয়ে মা চণ্ডীর মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই সাংবাদ মাধ্যম থেকে তখনই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, তা হল কি এই বার পাড়ায়…

Avatar

তিন দিন আগে বেহালা শখের বাজারে গিয়ে মা চণ্ডীর মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই সাংবাদ মাধ্যম থেকে তখনই প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, তা হল কি এই বার পাড়ায় পাড়ায় রাজ্যপাল? সেই সমস্ত ধারণাই এইবার হচ্ছে আরও মজবুত। একুশের ভোট এগিয়ে আসছে। ক্রমে এই প্রশ্নটাই বড় থেকে আরও বড় হয়ে উঠেছে,”কার পক্ষে বাংলা?” সেই সময়ের মাঝে রাজ্যপাল বেরিয়ে পড়ছেন সর্ব মঙ্গলার দুয়ারে দুয়ারে।

বিষয়টা একেবারেই জটিল নয়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নতুন সরকারি প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন, যার নাম ছিল পাড়ায় পাড়ায় সমাধান। অর্থাৎ স্থানীয় স্তরে কোথাও কোনও চাহিদা, ক্ষোভ অসন্তোষ থাকলে তার দ্রুত সমাধান। অনেকেই মনে করছেন এই সব ভোটের আগে মাইক্রো ম্যানেজমেন্ট। কারণ ১৯ এর লোকসভা ভোটের পর আন্দাজ করা গিয়েছিল নিচু তলার মারাত্মক বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়েছে।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

সরকার তথা শাসক দলের উদ্যোগ যখন এমনই তখন রাজপালও প্রায় পাড়ায় পৌঁছে যাচ্ছেন। তারপর স্থানীয় কোনও জাগ্রত মন্দিরে পুজো দিচ্ছেন। লোকাল লোকজন তাকে দেখতে করেছেন ভিড়। তিনি তাদের দেখে হাত নাড়াচ্ছেন। তার পর তিনি বলেন,”শুনুন ২০২১ কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।অ্যা মি আশা করছি প্রতিটি ব্যক্তি তাদের সর্ব শক্তি লাগিয়ে দেবেন। এর ফলে বাংলার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।”

সোমবার শিবের বার। এইদিন বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দির এবং ১০৮ শিব মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন জগদীপ ধনখড়। দেখা গিয়েছে, পুজো দিয়ে তিনি যখন বেরচ্ছেন মন্দিরের বাইরে জমা হয়েছে লোকজনের ভিড়। কম বেশি সবাই মোবাইল উঠিয়ে তুলেছেন ছবি। হাতও নাড়িয়েছেন। আর রাজ্যপাল তাদের সামনে হাতজোড় করে বিনয়ের সাথে বলেছেন, নতুন বছরে হিংসা কম হোক, বজায় থাকুক শান্তি, পারস্পরিক সদ্ভাব সুদৃঢ়।

যে সরকার যখন কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকে, সে তার নিজের পছন্দ মতো রাজ্যপাল নিয়োগ করেন। এইদিন বর্ধমান সার্কিট হাউজে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপাল বলেন, বাংলায় চলছে সিন্ডিকেট রাজ। গনবন্টন তথা রেশন ব্যবস্থাকে নিয়ে চলছে রাজনীতিকরণ। বালি কয়লা পাচার করা হচ্ছে। এই সব পচারের সময় নাকি স্লিপ ইস্যু করা হয়, তাও শুনেছি। সেই টাকা কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে করা হবে তদন্ত। আমফানের টাকাও করা হয়েছে চুরি। যার বাড়ি রয়েছে সে টাকা পেয়েছে। বাইরে থেকে কেউ এলেই বহিরাগত বলা হচ্ছে। প্রাদেশিকতার সংকীর্ণ রাজনীতি হচ্ছে।

About Author