সম্প্রতি শুভেন্দু অনুগামী কনিষ্ঠ পন্ডাকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করে দেয়া হয়েছে। অবশ্য তাতে আক্ষেপ নেই তার। বরং বহিষ্কারের পর তিনি রীতিমতো এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সম্পাদক ছিলেন। দল এবং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কনিষ্ক পন্ডাকে দল বিরোধী কাজ করার জন্য রবিবার দল থেকে বহিষ্কার করেছে। এছাড়াও তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অযাচিত মন্তব্য করেছিলেন। অবশ্য বহিষ্কার হওয়ার জন্য একটু দুঃখ নেই তার মনে। বরং খুশি হয়ে বলেছেন, “পাপমুক্তি ঘটেছে।”
কনিষ্ঠ পন্ডা বেশ আনন্দের সাথেই বলেছে, “আমার এখন শান্তি লাগছে। এতদিন ধরে আমার একটা লজ্জা ছিল। এখন সে লজ্জাটা থেকে মুক্তি পেলাম। আমি তো আগেই বলে দিয়েছিলাম আমায় তারালে আমি চলে যাব।” সেই সাথে তিনি দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভেবে নি তিনি কি করছেন। শুভেন্দু অধিকারী বড় নেতা না পিকে বড় নেতা সেটা উনি একদিন নিশ্চয়ই বুঝবেন। এখন তো সবে সিনেমার ট্রেলার শুরু হয়েছে। আসল সিনেমা শুরু হবে ২০২১ এর নির্বাচনের সময়।”
তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি কনিষ্ঠ পন্ডা বহিষ্কার সম্বন্ধে বলেছেন, “ওকে অনেক দিন আগেই বহিষ্কার করে দিতে হত তৃণমূল থেকে। দিনের পর দিন তৃণমূল জনোনেত্রী ও দলের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করছে। দল যে ওকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা একদম সঠিক।” অন্যদিকে কাঁথিতে সদ্য খোলা শুভেন্দু অধিকারী সহায়ক কেন্দ্র কণিষ্ক পণ্ডাকে দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। তারা রাস্তায় মিষ্টি বিতরণ করেছে।