Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

ডাক্তার বলেছিলেন, অমিতাভকে শেষবারের মত দেখে আসুন’, ICU-র বাইরে জয়া বচ্চন

অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের খ্যাতি দেশ-কালের সীমানা পেরিয়ে সর্বত্র। অমিতাভ-এর চিকিৎসকদের কাছে তিনি আজও ‘মির‍্যাকল’। অমিতাভের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা থাকার পরেও তিনি একইরকম পরিশ্রমী রয়েছেন। এই ব্যাপারটি আজও তাঁর চিকিৎসকদের অবাক…

Avatar

অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের খ্যাতি দেশ-কালের সীমানা পেরিয়ে সর্বত্র। অমিতাভ-এর চিকিৎসকদের কাছে তিনি আজও ‘মির‍্যাকল’। অমিতাভের শরীরে বিভিন্ন সমস্যা থাকার পরেও তিনি একইরকম পরিশ্রমী রয়েছেন। এই ব্যাপারটি আজও তাঁর চিকিৎসকদের অবাক করে। কিছুদিন আগেই করোনার সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ‘বিগ বি’। বাড়ি ফিরেই অমিতাভ সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন করোনা আক্রান্ত হয়ে একটি ঠান্ডা ঘরে নিজের একাকীত্বের সঙ্গে নিজের মনের লড়াইয়ের কথা।

এবার ‘বিগ বি’ নিজের ব্লগে লিখলেন, 1982 সালের অগষ্ট মাসের 2 তারিখের কথা। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে তাঁর দ্বিতীয় অপারেশনের পর অনেকক্ষণ তাঁর জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসকদের ধারণা হয়েছিল অমিতাভ বোধ হয় আর বাঁচবেন না। অমিতাভকে ICU-তে রাখা হয়েছিল। সেই সময় চিকিৎসকরা জয়া বচ্চনকে বলেন, অমিতাভ-এর সাথে শেষবারের মতো দেখা করে আসতে। এই ঘটনায় জয়া অত্যন্ত ভেঙে পড়েন। কিন্তু অমিতাভের জন্য গঠিত মেডিক্যাল টিমের প্রধান ডঃ উদওয়াদিয়া অমিতাভের শরীরে কর্টিসোন ইঞ্জেকশন দিয়ে একটি শেষ চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি অমিতাভের শরীরে একের পর এক কর্টিসোন ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করেন। এর ফলেই অমিতাভের জ্ঞান ফিরে আসে। জ্ঞান ফিরে আসার মুহূর্তে প্রথম অমিতাভের পা একটু কেঁপে উঠতেই জয়া বলে ওঠেন, অমিতাভ বেঁচে আছেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

1982 সালের 26 শে জুলাই পরিচালক মনমোহন দেশাই-এর ফিল্ম ‘কুলি’র শুটিং চলছিল বেঙ্গালুরু থেকে প্রায় 16 কিলোমিটার দূরে একটি স্থানে। অমিতাভ ও অভিনেতা পুনিত ঈসারের একটি ফাইট সিকোয়েন্স চলছিল। এইসময় ফাইট সিকোয়েন্স অনুযায়ী অমিতাভ একটি লাফ দিতে যান। কিন্তু টেকনিক্যাল ভুলের কারণে অমিতাভ পড়ে গিয়ে লিভারে মারাত্মক চোট পেয়েছিলেন। শুটিং বন্ধ করে অমিতাভকে হোটেলে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু কোনো পেন কিলারেও ব্যথা না কমে অমিতাভের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাঁকে দ্রুত মুম্বই ফিরিয়ে নিয়ে এসে ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ‘বিগ বি’র অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর তাঁর শরীরে রক্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেই মুহূর্তে তাঁর শরীরে যে রক্ত দেওয়া হয়, তাতে ছিল হেপাটাইটিস বি-র জীবাণু। ফলে অমিতাভের শরীরে সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়। তাঁর জীবন সঙ্কট দেখা দেয়। কিন্তু সেদিন ডঃ উদওয়াদিয়া-র সিদ্ধান্ত অমিতাভকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিল।

About Author