Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

রাজ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখছে, এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সশরীরে যাওয়া সম্ভব নয়, কেন্দ্রীয় তলবের পাল্টা আলাপন

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এভাবে সরাসরি রাজ্যকে তলব করা যায় না শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এরকম ভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কার্যত স্পষ্ট ছিল যে রাজ্য সরকারের…

Avatar

আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এভাবে সরাসরি রাজ্যকে তলব করা যায় না শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে এরকম ভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই কার্যত স্পষ্ট ছিল যে রাজ্য সরকারের দুই উচ্চপদস্থ কর্তা দিল্লি যাবেন না। এবার সেই ইঙ্গিত স্পষ্ট করল রাজ্য প্রশাসন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব কে চিঠি দিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কর্তাদের দিল্লিতে সশরীরে উপস্থিত থাকা নিয়ে অব্যাহতি চাইলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির কনভয়তে হামলা নিয়ে শুক্রবার টুইট করেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আচরণে তিনি বেশ ক্ষুব্ধ।এরপরে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র কে এই কনভয় হামলা নিয়ে দিল্লিতে বিষয়টি জানাতে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু মমতা প্রশাসনের ২ শীর্ষকর্তা এদিন জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা দিল্লিতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লাকে চিঠি লিখে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে সশরীরে উপস্থিত থাকার থাকা সম্ভব নয় আমাদের পক্ষে। এই কনভয় হামলার পর এই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল এই দুই শীর্ষ কর্তা কে। কিন্তু, এদিন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তাদের এইভাবে সরাসরি ডাকা যাবে না। এদিন কল্যাণ দাবি করেন, “সংবিধান নিরাপত্তা এবং রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্যের একটি ইয়ারে পড়ে। এক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী জবাবদিহি শুধুমাত্র রাজ্যকে দেওয়া যেতে পারে। সেই সময় অনেক জন পুলিশ মোতায়েন ছিলেন। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির গাড়ির পিছনে ছিল প্রায় ৫০টি গাড়ি। বিজেপি নেতা রাকেশ সিং এর প্ররোচনা তে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাকেশ তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছিলেন। এই কারণে জেপি নড্ডার কনভয়তে নিয়মবহির্ভূতভাবে গাড়ি ঢোকানোর ঘটনায় আপনারা রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং পুলিশ সুপারকে কখনো ডেকে পাঠাতে পারেন না।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে লেখা চিঠিতে আলাপন আরও দাবি করেছেন, “বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল বুলেটপ্রুফ গাড়ি এবং পাইলট কার। উপস্থিত ছিলেন ৪ জন এএসপি, ৮ জন ডিএসপি এবং ১৪ জন ইন্সপেক্টর। এছাড়াও একটি বিশাল বাহিনী তার সাহায্যের জন্য ছিল। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তার’ বাইরেও এই ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। ফলে নিরাপত্তাতে কোন রকম ফাক দেওয়া হয়নি। যদিও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর একেবারে উল্টো কথা বলছেন। তিনি বলছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি কনভয় ঘিরে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। এদিন সেই দাবি সম্পূর্ণরূপে উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি তারা নিশ্চিত করেছে যেন রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তাকে দিল্লি যেতে না হয়।

About Author