মহানগরীতে বাড়ছে গাড়ির সংখ্যা। বেড়েছে কর্ম সংস্থানের সুযোগ। ফলে বাড়ছে যানজট। তবে কিছুদিনের মধ্যেই গতি বাড়বে তিলোত্তমার। শহরে চালু হতে চলেছে নয়া তিনটি উড়ালপুল তৈরির কাজ। তারমধ্যে একটি ব্রিজ হবে গণেশ চন্দ্র অ্যাভিনিউ থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত, আর একটি ব্রিজ হবে টালিগঞ্জ থেকে যাদবপুর ফাঁড়ি অবধি এবং অপর আর একটি ব্রিজ হবে পার্ক সার্কাস থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি পর্যন্ত। এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই রাজ্য নগরায়ণ দফতর তরফে জানানো হয়েছে, এই তিনটি ব্রিজ নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
একবছর আগেই নয়া ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দ্রুত কাজ শুরুর ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ২০১৭ সালে যানজট কমাতে নতুন সেতু তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই সময়ে মোট ৮ টি নতুন উড়ালপুলের তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রুট বাছাই করা হয়েছে। এরফলে যানযটের সমস্যা সমাধান হবে বলে মত গণ পরিবহন বিশেষজ্ঞদের।মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাবিত এই তিনটি উড়ালপুলের রুটে কে এম ডি এ সমীক্ষার কাজ শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। সূত্রের তথ্যানুযায়ী সমীক্ষার জন্যে কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ সংস্থা রাইটস এই নয়া সেতু নির্মাণের বিষয়ে কাজ এগিয়েছে। মূখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দ্রুত সব প্রকল্প অধিগ্রহণ করা হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowতবে জানা যায়, কেবল পার্ক সার্কাস থেকে বালিগঞ্জ ফাঁড়ি প্রস্তাবিত ব্রিজ নিয়েই সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ, এই সেতুর রাস্তায় মাটির নীচে একাধিক পাইপ লাইন রয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো গ্যাস ও বিদ্যুতের লাইন। এছাড়া “মা” সেতুর যে শাখা রয়েছে তার পাশে থেকে বা নীচে দিয়ে সেতু নির্মাণ নিয়েও সমস্যা থাকতে পারে। তবে যেহেতু এই এলাকায় গাড়ির সংখ্যা বেশি তাই উড়ালপুল আবশ্যক। অন্যান্য সেতুগুলোর সমীক্ষার কাজ চলছে। নজর রাখা হচ্ছে জমি অধিগ্রহণ, বিকল্প রাস্তার সন্ধান,পুনঃবাসন ইত্যাদি বিষয়ে।