কিছু দিন আগে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন জনপ্রিয় কমেডিয়ান ভারতী সিং ও তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়া। এবার বলিউডের মাদকযোগ নিয়ে মুখ খুললেন সর্বকালের সেরা কমেডিয়ান অভিনেতা জনি লিভার। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে জনি লিভার বলেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ভারতী ও হর্ষ যেন তাঁদের সহকর্মী ও বন্ধুদের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন। এত কম বয়সে খ্যাতি অর্জন করার পর যখন ভারতী ও হর্ষের নাম মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তখন তাদের পরিবারের মানসিক পরিস্থিতিতেও তা আঘাত হানে। সাধারণত কমবয়সী তারকারাই মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন জনি লিভার। ভারতী ও হর্ষের উদ্দেশ্যে মাদক সেবন বন্ধ করার আর্জিও জানান জনি লিভার।
বলিউডের প্রারম্ভিক সময় থেকেই নেশার সঙ্গে যোগ রয়েছে অনেক তারকার। এর আগে অত্যধিক অ্যালকোহলের নেশার ফলে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন অভিনেত্রী মীনা কুমারী। অভিনেতা সঞ্জয় দত্তও একসময় জড়িয়ে পড়েছিলেন কোকেনের নেশায়। গ্রেফতার হওয়ার পর সমগ্র পৃথিবীর মানুষের সামনে তিনি সব দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। সঞ্জয় দত্ত-র উদাহরণও দেন জনি লিভার। জনি লিভার বলেন, বলিউড তারকারা এইভাবে মাদকের নেশায় জড়িয়ে পড়লে বলিউডের আন্তর্জাতিক মান ক্রমশ নিম্নমুখী হয়ে যাবে।
কিছু দিন আগে খারের এক ড্রাগ পেডলারকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে কমেডিয়ান ভারতী সিং ও তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়ার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ছিয়াশি গ্রাম গাঁজা বাজেয়াপ্ত করেন এনসিবি-র অফিসাররা। এরপর ভারতী ও হর্ষকে এনসিবি-র দপ্তরে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়। সাড়ে তিন ঘন্টা জেরা করার পর ভারতীকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর আরো কিছুক্ষণ জেরা করার পর গ্রেফতার করা হয় হর্ষকেও। ভারতী ও হর্ষ এনসিবি-র সামনে গাঁজা সেবনের অভিযোগ কবুল করেছেন। ভারতী ও হর্ষের নামে নিষিদ্ধ মাদক সেবনের অভিযোগ আনে এনসিবি। এনসিবি অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের তত্ত্বাবধানে এই মুহূর্তে বলিউডের মাদকযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। এনসিবি সূত্রে জানা গেছে, বলিউডের একজন সুপার মডেল-অভিনেতা চোরাগোপ্তা মাদকচক্রের চাঁই। খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে তাঁকেও।