দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস অপেক্ষার পর অবশেষে আজ রাজ্যে চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবা। প্রায় অনেক দিন ধরে কলকাতা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা অজস্র মানুষ আজ ফের শহরে যাতায়াত শুরু করবে। ফলে দেখা যাবে ঠিক পুরনো দিনের মতোই বাসে বা মেট্রোতে অফিস টাইমে ভিড়। কলকাতার নিত্যযাত্রীদের সাথে বাইরের লোকেদের ভিড় সামলাতে রাজ্য পরিবহন দপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানা গিয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowলোকাল ট্রেন চালুর প্রথম দিনে সাধারণের তুলনায় বেশি হবে বলে পরিবহন দপ্তর আশঙ্কা। তাই আজ রাজ্য পরিবহণ দফতর রাস্তায় চার হাজারের কাছাকাছি বাস নামাবে বলে জানিয়েছে। এই বিষয় নিয়ে গত মঙ্গলবার বাস মালিক সংগঠনগুলির সাথে বৈঠকও করেছেন রাজ্য পরিবহন আধিকারিকরা। সমস্ত রুটে বেসরকারি বাসের সংখ্যা বাড়ানোর সাথে সাথে সরকারি বাস পরিষেবাতেও একাধিক পরিবর্তন করা হবে বলে জানা গেছে।
পরিবহন দপ্তর সূত্রে খবর, এতদিন লোকাল ট্রেন না চলায় হাওড়া, শিয়ালদহ, বালিগঞ্জ, গড়িয়া, টালিগঞ্জ ইত্যাদি স্টেশন ছুঁয়ে চলা বাস রুটগুলিতে যাত্রী সংখ্যা অনেক কম থাকায় বাসও কম চলছিল। এবার ওই রুটে বাসের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে স্বাভাবিক এর কাছাকাছি করে আনা হবে। এছাড়াও ভোর ও রাতের ট্রেন যাত্রীদের জন্য চালু হবে নৈশ বাস পরিষেবা। হাওড়া স্টেশন ও শিয়ালদহ স্টেশনের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ বাস রুটগুলিতে আবার আগের মত স্বাভাবিক পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ পরিবহনের যে সব বাস কলকাতায় চলছে তাদের অবিলম্বে পুরনো জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
লকডাউন ও তারপর আনলক প্রক্রিয়া চালু হলেও বাসেতে যাত্রীসংখ্যা খুব একটা বেশি হতো না। তাই যে সমস্ত রুটে একটু হলেও বেশি যাত্রী হয় সেখানে অন্য রুটের বাস অস্থায়ী পারমিট নিয়ে বাস চালাচ্ছিল। এখন পরিবহন দপ্তর নির্দেশ দিয়েছে যে তাদের আবার তাদের পুরনো রুটে বাস চালাতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেছেন, “লোকাল ট্রেন চললে বেসরকারি বাসের যাত্রী সংখ্যাও বাড়বে। এর ফলে আগের তুলনায় অনেক বেশি বাস রাস্তায় নামবে”। অন্যদিকে বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এরকম পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ভাবে বাস চালাতে তাদের রাজ্য পুলিশের সাহায্য প্রয়োজন।