Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ন্ত্রণের আর্জি রেখে মামলা হাইকোর্টে, বিপাকে রেল দপ্তর

দুর্গাপুজো তে মণ্ডপে নো এন্ট্রি ছিল। যদি কালীপুজো কার্তিক পূজা এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেইমতো এবারে বুধবার চালু হতে যাওয়া…

Avatar

দুর্গাপুজো তে মণ্ডপে নো এন্ট্রি ছিল। যদি কালীপুজো কার্তিক পূজা এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতেও এই নিয়ম কার্যকর করা হয় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেইমতো এবারে বুধবার চালু হতে যাওয়া লোকাল ট্রেন চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। এই মর্মে এদিন কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়েছে। এই আবেদনে বলা হয়েছে, শহর এবং শহরতলীর যে কয়েকটি জায়গা বড় কালী পূজার জন্য বিখ্যাত সেখানে কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত ট্রেন থামানো যাবেনা। শুধু সেই স্টেশন নয় তার ১০ কিলোমিটার আগে-পরের কোন স্টেশনে ট্রেন থামানো যাবেনা। একইভাবে এই নির্দেশ মানতে হবে জগদ্ধাত্রী পুজো তে ও।

জগদ্ধাত্রী পুজো তে চন্দননগর এবং কালি পুজোতে বারাসাত অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই দুর্গাপূজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ঠিক সেইভাবে যেন এখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই মামলাটি দায়ের করেছেন অজয় কুমার দে। প্রসঙ্গত, অজয় বাবু দুর্গাপুজোর ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মামলা করেছিলেন হাইকোর্টে। অজয় বাবুর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আমাদের জানান, ” পুজোর দিন গুলিতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য অন্তত শহরতলীর কিছু নির্দিষ্ট স্টেশনে যাত্রীর ওঠানামা বন্ধ করতেই হবে। এই কারণে আমরা ইতিমধ্যেই সব পক্ষকে নথি পেশ করেছি।”

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

কালীপুজোর আগে মঙ্গলবার অর্থাৎ ১০ নভেম্বর হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করবে। কালি পুজোতে বারাসাত, মধ্যমগ্রাম, ব্যারাকপুর, নৈহাটি, কাঁচরাপাড়ার মত উত্তর শহরতলীর বেশকিছু জায়গাতে ভিড় লক্ষ্য করা যায়। অন্যদিকে, চন্দননগর, কৃষ্ণনগর এবং আরো কয়েকটি জায়গা বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য। আবার কার্তিক পুজোতে ভিড় হয় বর্ধমানের কালনা এবং কাটোয়া তে। তাই এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে।

মামলাতে আবেদনকারীর বক্তব্য, যদি এই জায়গার কাছাকাছি স্টেশন গুলিতে লোকাল ট্রেন দাঁড়ায়, তাহলে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা একেবারেই সম্ভব হবে না। তাই সংশ্লিষ্ট স্টেশনগুলি তো বটেই, আশেপাশের ১০ কিলোমিটার অঞ্চলের মধ্যে কোন স্টেশনে যেন ট্রেন না দাঁড়ায়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এই নির্দেশ যেন কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত কার্যকরী করা হয়। না হলে করোনা সংক্রমণ ঠেকানো অত্যন্ত সমস্যাজনক হয়ে পড়বে।

প্রসঙ্গত, আগামী বুধবার থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে প্রায় ২০০ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করবে। এতদিন করো না পরিস্থিতির কারণে পরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ ছিল। ট্রেন তো একেবারেই বন্ধ ছিল। তবে এই পরিস্থিতিতে, যদিওবা লোকাল ট্রেন দাঁড় করানো বন্ধ করা হয় তবুও কিভাবে এই নিয়ম ভবিষ্যতে কার্যকর হবে সেই নিয়ে ধন্দে রয়েছে সমস্ত মহল।

About Author