কানপুরে এক হিন্দু যুবতীর বিয়েকে ‘লাভ জিহাদ’-এর ঘটনা বলে প্রচার করছে এক শ্রেণীর মানুষ। যদিও মেয়েটি জানিয়েছে যে, তিনি তার নিজের ইচ্ছাতেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে, একটা বিশ্বাস থেকেই এই বিয়েটা তিনি করেছেন বলে দাবি ওই যুবতীর। কিন্তু বজরং দলের স্থানীয় শাখা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে শালিনীর এই পছন্দটি মেনে নিতে অস্বীকার করেন। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের যে নিজস্ব পছন্দ থাকতে পারে এই সত্যটি মেনে নিতেও রাজি নয় তারা। এই নিয়ে রবিবার রাতে বজরং দলের কর্মীরা কিদওয়াই নগরের রাস্তায় ঝামেলার সূত্রপাত ঘটায় এবং পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে।কানপুরের বড়ার বাসিন্দা শালিনী যাদব (২১) গত সপ্তাহে ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। যাতে তিনি উল্লেখ করেন যে, অন্য ধর্মের প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য তাকে তার পরিবারের কাছ থেকে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এর জন্য তাকে নিজের সুরক্ষা চাইতে দেখা গিয়েছিল। ভিডিওতে শালিনী আরও দাবি করেছেন যে, তিনি শালিনী থেকে নাম পরিবর্তন করে ফিজা ফাতেমা গ্রহণ করেছেন। গত ২ জুলাই গাজিয়াবাদে নিজের ইচ্ছার আদালতে মোহাম্মদ ফয়জলকে বিয়ে করেছেন বলেও জানান তিনি। তার অভিযোগ, বিয়ের পর তার পরিবার তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মিথ্যে এফআইআর দায়ের করেছে। তিনি জানান যে, ২৯ শে জুন তিনি তার নিজের ইচ্ছার বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।শালিনীর পরিবার কিদওয়াই নগর থানায় মোহাম্মদ ফয়সালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিল। বজরঙ্গ দলের কর্মীরা অভিযোগ করেছেন যে এটি একটি ‘লাভ জিহাদ’-এর ঘটনা। এই ঘটনায় মোহাম্মদ ফয়জলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা উচিত বলে দাবি বজরং দলের।