আন্তর্জাতিকনিউজ

প্রথম আটলান্টিক মহাসাগরে ‘বুমেরাং ভূমিকম্প’, টের পেলেন বিজ্ঞানীরা

Advertisement
Advertisement

এই প্রথম বিজ্ঞানীরা একটি বিরল ও অস্বাভাবিক ‘বুমেরাং’ ভূমিকম্পের প্রমাণ পেলেন। ২০১৬ সালে আটলান্টিক মহাসাগরের নীচে গভীর সমুদ্রকে কাঁপিয়েছিল এই ভূমিকম্প। ভূমিকম্প যখন ঘটে পাথরগুলি হঠাৎ একটি ফল্টের উপর ভেঙে পড়ে। কিন্তু একটি বুমেরাং ভূমিকম্পের সময়, ফাটলটি প্রাথমিক বিরতি থেকে দূরে ছড়িয়ে পড়ে এবং পরে বাঁক ঘুরিয়ে নিয়ে দ্রুত গতিতে ফিরে যায়। মঙ্গলবার নেচার জিওসায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয় যে, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও জাপানের বিশেষজ্ঞদের একটি আন্তর্জাতিক দল একটি আটলান্টিক মহাসাগরের মধ্যে এই ভূমিকম্পটির বিষয়ে গবেষণা চালিয়েছিল।

Advertisement
Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে আটলান্টিক মহাসাগরে হওয়া এই বিরল ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.১। এই ভূমিকম্পটি ব্রাজিলের পূর্ব উপকূল ও আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলের মাঝামাঝি নিরক্ষীয় অঞ্চলে অবস্থিত রোমানচে ফ্র্যাকচার অঞ্চল বরাবর সংঘটিত হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করেন যে, প্রথম বারের ভূকম্পনে ফাটলটি এক দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। পরে দ্বিতীয় বার আবারও ভূকম্পন ঘটলে ‘সিসমিক সাউন্ড বাধা’ ভেঙে গতি বাড়িয়েছিল এই কম্পন। বিজ্ঞানীদের এই দলটি বিশ্বাস করে যে, দ্বিতীয় বারে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়াটা ঘটলেও এর প্রথম পর্বটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

Advertisement

গবেষণা দলের সদস্য ড. স্টিফেন হিক্স বলেন, ‘বিজ্ঞানীরা থিওরিটিক্যাল মডেলগুলো থেকে এই জাতীয় বিপর্যয় বিদীর্ণ প্রক্রিয়া সম্ভব বলে বুঝতে পেরেই নতুন এই গবেষণাটি উদ্ভূত এই রহস্যময় ঘটনার বেশ কিছু স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যাওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হই।’ একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন যে, ‘ঘটনাটি সহজ বলে মনে হলেও, ভূমিকম্প যেভাবে বেড়েছিল তাতে বিষয়টি অন্য মাত্রা পেয়েছে। আমরা তথ্য বিশ্লেষণ শুরু করার আগে ভূমিকম্পটি কীভাবে ঘটেছিল তা সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল।’ গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, এই ঘটনাটি প্রথমবারের মতো সমুদ্রের মধ্যে বেশ বিরল এবং ট্র্যাক।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button