চিনা আগ্রাসন রুখতে ভারত সরকার ৫৯ টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সর্বাধিক জনপ্রিয় টিকটক, উইচ্যাট এবং ক্যাম স্ক্যানার। ইলেক্ট্রনিক্স, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের জারি করা প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব এবং ভারতীয়দের বিভিন্ন ব্যক্তিগত সুরক্ষিত রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের একটা অংশ মনে করছেন যে, সীমান্ত সংঘর্ষের পর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার বোঝাতে চেয়েছে চিনকে পাল্টা দিতে সব দিক থেকে তৈরি রয়েছে ভারত।
এমইআইটিআই-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এই পদক্ষেপ কোটি কোটি ভারতীয় মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের স্বার্থ রক্ষা করবে। ভারতীয় সাইবার স্পেসের সুরক্ষা ও সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করতে এই সিদ্ধান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ সরকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপে চিনা সংস্থাগুলি বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowকেন্দ্রের এই পদক্ষেপ বিরোধী দলের নেতা ও দেশের নাগরিকদের সমর্থন পাবে বলে মনে করছে কেন্দ্র। কারণ, সংসদের বিভিন্ন অধিবেশনে তথ্য সুরক্ষায় আপসকারী অ্যাপ্লিকেশনগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। অন্যদিকে, গালওয়ান উপত্যকায় সীমান্ত সংঘর্ষে ২০ জন জওয়ান শহীদ হওয়ার পর থেকেই চিনা অ্যাপ্লিকেশন বর্জনের দাবিতে স্যোশাল মিডিয়ায় হ্যাশট্যাগগুলি ব্যাপক ট্রেন্ড হয়েছে।
উইচ্যাট ও শেয়ার ইট-এর মতো অ্যাপ্লিকেশন গুলির বিরুদ্ধে চিনের গোয়েন্দা সংস্থাগুলির হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, উইচ্যাটের প্রতিষ্ঠাতা চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাথে যুক্ত। বিউটি প্লাস এবং ইউ ক্যামের বিরুদ্ধে ফোন থেকে তথ্য চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে টিকটকের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি, তথ্য চুরি এবং ব্যবহারকারীর সুরক্ষার সাথে আপস করার অভিযোগ রয়েছে। ফোন নির্মাতা শাওমির অ্যাপসের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করা হয়েছে। ইউসি ব্রাউজার, ক্যাম স্ক্যানারের মতো সর্বাধিক ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন গুলিও নিষিদ্ধ তালিকায় রয়েছে।
আবার নোটবন্দি? রাতারাতি ৫০০ টাকার নোট বাতিল হলে কী করবেন?