সাক্ষাৎকার

[ Exclusive Interview ] মানুষের হাতে লন্ঠন ধরিয়ে দিয়েছে : বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ

মমতা ব্যানার্জি সিঙ্গুর কে ভাঙ্গিয়েছেন। তার ভাইপো আজকে বলছেন , এক লক্ষ সিঙ্গুরে চাকরি দেব। যে রালী হয়েছিল আমাদের কলকাতায় সেই সময় তাদেরই দলের কিছু গুন্ডাদের কে পাঠিয়ে , তারই দলের কয়েকটা হার্মাদ কে পাঠিয়ে বিদ্যাসাগরের ঘটনাটা করেছিলেন। : সৌমিত্র খাঁ

Advertisement
Advertisement

করোনা আবহের মধ্যে অমিত শাহের ভার্চুয়াল জনসভার পর থেকেই রাজুর রাজনীতিতে নানা জল্পনা ও শোরগোল শুরু হয়। এরপরে শিক্ষা মন্ত্রী ও বনমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক , সব মিলিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।

Advertisement
Advertisement

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মতামত নেওয়ার জন্য ভারত বার্তা প্রতিনিধি প্রীতম দাস যোগাযোগ করেছিল মাননীয় বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর সঙ্গে। তিনি এ বিষয়ে তাঁর মূল্যবান মতামত আমাদের ভারত বার্তার প্রতিনিধিকে জানান।

Advertisement

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ জনসভা থেকে সোনার বাংলা গড়ে দেবার ডাক দিয়েছে কিন্তু সাংবাদিক বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি সেই মন্তব্য কে কটাক্ষ করে বলেছেন বিজেপির সোনার বাংলা গড়ে সোনা নিয়ে পালিয়ে যাবে। কি বলবেন এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ?

Advertisement
Advertisement

সৌমিত্র খাঁ : আমি পার্থ চ্যাটার্জির কথা ধরেই বলি , আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলে ভাবি তার ঘরের বৌমা সোনা চুরি করে এয়ারপোর্ট থেকে পালিয়ে যায় ও আমি পার্থবাবুর কাছে জানতে চাই যে , পার্থ বাবু শিক্ষিত যুবকদের জন্য আপনি কি করেছেন ? আপনি আগে আপনার শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য পারেননি কিছু করতে। তা আপনি আগে রাজ্যের কথা কি করে ভাবছেন ? আপনি কি জানেন জঙ্গলমহলে তৃণমূলের নেতারা গাছ কাটার জন্য নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু করেছে ? ঝড়ে যে কাজগুলো ভেঙে পড়েছে সে কাজগুলো সরানোর জন্য কিছু করেননি একটু আর্মি এসে কাজ কেটে দেওয়ার পর সেই গাছের বখরা কে পাবে , সেই গাছ কে বিক্রি করবে সেটা নিয়ে মারপিট শুরু হয়েছে। এটা তো আমরা সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি। পার্থ বাবু নিজের শরীর নিয়ে ব্যস্ত থাকুক। উনি নিশ্চিতভাবে আমার মনে হয় একজন ফেলিওর মিনিস্টার ! সবচেযে অপদার্থ মিনিস্টার যদি কেউ হয় তা পার্থবাবু ! আর রাজিব বাবু কে বলব যে , দেখুন আপনি আগে নিজের বনদপ্তর সামলান। কারণ আপনার বোনের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূলের ছেলেরা আর আপনি রাস্তার গাছ পরিষ্কার করতে পারছেন না।

আজকে একই দিনে বনমন্ত্রী বলেছেন , বাংলা দখলের লক্ষ্যে কখনো আয়ুষ্মান ভারত বা কখনো কৃষক সম্মান ইত্যাদির নাম নিয়ে মানুষকে ভাওতা দিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধি চেষ্টা করছেন ( পুরো শেষ না হতেই) ..

সৌমিত্র খা : আজকে উড়িষ্যার চারবারের মুখ্যমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত কে স্বাগত জানিয়েছেন। ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী আয়ুষ্মান ভারত কে স্বাগত জানিয়েছে। আর কৃষক সম্মান যোজনা আজকে পশ্চিমবঙ্গের দু’কোটি কৃষক 10000 টাকা করে পায় তাহলে মমতা ব্যানার্জির দুঃখ কোথায় ? রাজ্য সরকারের বুকে ব্যাথা লাগছে। কেনো লাগছে ? কারন , মোদীজি এখানে পি এম পাবলিক হয়ে গেছে সেইজন্য উনাদের গায়ে লাগছে। আর ওনারা কাটমানি নিতে পারছেন না।

অমিত শাহের ভার্চুয়াল জনসভার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে একটা ঝড় উঠেছে। একই দিনে দুজন মন্ত্রী সংবাদিক বৈঠক করলেন। কিভাবে দেখছেন পুরো বিষয়টি ?

সৌমিত্র খাঁ : দেখুন এটা তো অস্বীকার করা যায় না। আজকে ধরুন , পশ্চিমবাংলা থেকে প্রায় তিন কোটি মানুষ ভার্চুয়াল রালি দেখেছে। এটা বিশ্বের নতুন একটা দিগন্ত খুলেছে যে , করোনা মহামারীর মধ্যেও আমরা বাড়িতে বসে নেতাদের মিটিং শুনতে পারি। আমরা যে কোন কথা বলতে পারি। এখন উনাদের আতঙ্ক ধরে গেছে। আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি তৃণমূল কংগ্রেস আর থাকবে না , তৃণমূল কংগ্রেস দল টার কোন অস্তিত্ব নেই শুধু পুলিশকে নিয়ে আছে। এই কয়েকটা মাস থেকে যাক।

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অমিত শাহের সোনারবাংলা মন্তব্যকে আরো একটি প্রসঙ্গ টেনে কটাক্ষ করেছেন। গতবছর অমিত শাহের রালি ও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন ..

সৌমিত্র খাঁ : মমতা ব্যানার্জি সিঙ্গুর কে ভাঙ্গিয়েছেন। তার ভাইপো আজকে বলছেন , এক লক্ষ সিঙ্গুরে চাকরি দেব। যে রালী হয়েছিল আমাদের কলকাতায় সেই সময় তাদেরই দলের কিছু গুন্ডাদের কে পাঠিয়ে , তারই দলের কয়েকটা হার্মাদ কে পাঠিয়ে বিদ্যাসাগরের ঘটনাটা করেছিলেন। এক বছর হয়ে গেল কেউ এখনো পর্যন্ত অ্যারেস্ট হলোনা। কেন হল না ? অমিত শাহ বলেছেন সোনার বাংলা করব আর মমতা ব্যানার্জি বলেছিলেন লন্ডন বানাবো। আমরা দেখতে পেলাম কয়েকদিন আগে , আইফেল টাওয়ারের মতো কোন টাওয়ার হয়নি। আমরা দেখতে পেলাম এখানে কোন কিছুই হয়নি। এটা লন্ঠন বানিয়ে দিয়েছে। মানুষের হাতে লন্ঠন ধরিয়ে দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জির লন্ঠন ধরাতে ভালোবাসেন , লন্ঠন ধরিয়ে দিয়েছেন।

[ সাক্ষাৎকার গ্রহণ : প্রীতম দাস]

Advertisement

Related Articles

Back to top button