কৌশিক পোল্ল্যে: দিনকে দিন বিতর্কের অপর নাম হয়ে উঠছেন বাংলাদেশি গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল। একের পর এক তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়ে বরাবরই খবরে থাকতে বেশ পছন্দই করছেন তিনি। তার কটাক্ষের তালিকায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেউই বাদ যাননি। এই সমস্ত কারণের জেরেই ভারতে নোবেল এলে তাকে তৎক্ষণাৎ গ্রেফতার করা হবে এরকমটাও শোনা গিয়েছিল। জনৈক এক ব্যক্তি তো ত্রিপুরা পুলিশের কাছে এই মর্মে একটি এফআইআর দায়ের করেছিলেন। যদিও ঘটনার পর আবার ভারতে আসতে চেয়েছেন নোবেল।
নিজের গানের প্রচারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামটি ব্যবহার করে লাইমলাইটে আসতে চেয়েছিলেন গায়ক, কিন্তু ঘটনার ফল হলো উলটো। নোবেলের এহেন কার্যকলাপে ক্ষুব্ধ হয়ে যান একদল ভারতীয় ইউজার। সেই কারণেই ভারত থেকে নোবেলকে বয়কটের দাবিও করা হয় যেহেতু এই গায়কের উত্থান জি বাংলার জনপ্রিয় গানের রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা’ থেকেই। অবশেষে চাপে পড়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন নোবেল, কিন্তু মনে মনে ক্ষোভ পুষে রেখেছিলেন ঠিকই যা প্রকাশিত হলো আবারো তারই তীর্যক মন্তব্যের মাধ্যমে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নোবেল করে বসলেন এক বেফাঁস মন্তব্য যা গায়কের নীচ মানসিকতার পরিচয় দেয়। তিনি বলেই ফেললেন “বড়দের থেকেই বেয়াদবি শিখেছি”। নোবেলের কীর্তিকলাপে তিতিবিরক্ত হয়ে অনেকেই তাকে ‘বেয়াদব’ আখ্যা দেন, সেই মন্তব্যগুলির পরিপ্রেক্ষিতেই নিজের প্রতিক্রিয়া হিসেবে এমনটি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন নোবেল। অর্থাৎ বোধগম্য বিষয় একটিই, গায়ক ভাঙবেন তবু মচকাবেন না, বুঝে গেলেন নেটিজেনরা।
উল্লেখ্য যে গানের জন্য এতকিছু জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি সেই গান ‘তামাশা’ বেশ কয়েকদিন আগেই ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে এবং সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় এই গানে লাইকের তুলনায় ডিসলাইকের সংখ্যা বহুগুণ বেশি, একে এক প্রকার বদলা নেওয়া বলা চলে। বস্তাপচা কনসেপ্টের গানে একেবারেই মন ভরেনি দর্শকদের বরং বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেও মুখ খুলে জনসমক্ষে তাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ গায়কের। এসবের মাঝেই নোবেলের ভারতে আসা অনেকটাই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেল একথা বলা চলে।