ফের পুরোনো ছন্দে ফিরছে জনজীবন। দীর্ঘ আড়াই মাস লক ডাউনের পর ফের খুলতে শুরু করেছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। রাস্তায় চলতে শুরু করেছে যানবাহন। কিন্তু করোনার সংক্রমণকে মাথায় রেখেই এবার চলতে হবে পথে, এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সামাজিক দূরত্ব ও, মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার না করলে অপেক্ষা করে আছে চরম বিপদ। আর তাই সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের প্রতি করোনা ভাইরাসের সতর্কতা সম্বন্ধে এক ১১ দফার নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন।
১১ দফার যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে যে বিষয়গুলির প্রতি নজর দিতে বলা হয়েছে তা হল-
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now১. সর্বপ্রথম সামাজিক দূরত্বকে প্রাধান্য দিতে হবে। অফিসে ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। দুটি ডেস্কের মধ্যে ২ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। যেখানে অনেকে কাজ করতেন সেখানে মিলিয়ে মিশিয়ে ১০ জন করে উপস্থিত থাকবেন।
২. শুধুমাত্র উপসর্গ নেই এমন কর্মীকেই অফিসে ঢুকতে দেওয়া হবে। সর্দি, জ্বর, কাশি থাকলে তাঁকে আসতে হবে না।
৩. অফিসে ভিজিটর্সদের ক্ষেত্রে ২ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
৪. অফিসে সাধারণ মানুষের জন্য যে লিফট্ থাকবে তাতে সর্বোচ্চ ৩ জন নেওয়া যাবে।
৫. কর্মী থেকে সকলে নিজেদের ব্যবহার করা মাউস, কি-বোর্ড, এসির রিমোর্ট জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৬. কর্মীরা সামনাসামনি বসে কথা বলতে পারবেন না। তার মাধ্যমে সাহায্য নেওয়া যেতে পারে ফোন বা ভিডিও কনফারেন্সের।
৭. কনটেইনমেন্ট জোনে থাকা কর্মীদের অফিসে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
৮. কিছু সংখ্যক কর্মীকে ঘরে থেকে অফিসের কাজ করতে হবে।
৯. অফিসে যতক্ষণ উপস্থিত থাকবে প্রত্যেককে ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিয়ম না মানলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০. এছাড়া অফিসের ইলেক্ট্রিক সুইচ, দরজার হাতল সমস্ত কিছু ১৫ দিন অন্তর স্যানিটাইজ করতে হবে।
১১. আলাদা কেবিনে কর্মরত উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের প্রতিদিন অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে।