ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্র ও গুজরাট যে নতুন করে এই ঘূর্ণিঝড়ের হানায় বিপর্যস্ত হতে চলেছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)-র পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করে জানানো হয়েছে যে, এই ঝড় ঘন্টায় আনুমানিক ১২৫ কিমি বেগে বয়ে যেতে পারে। ভূমিভাগে আছড়ে পড়ার সময় কিছুটা আমফানের মতোই থাকবে এর রূপ।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ৩ রা জুন সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে মহারাষ্ট্রের রায়গড়, হরিহরেশ্বর ও দমনের মাঝখানে কোন অংশে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়টি। ভূমিভাগে আছড়ে পড়ার সময় এর সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ১২৫ কিমির আশেপাশে থাকবে বলে জানা গেছে। আবহাওয়া দপ্তর এই ঝড়টিকে অতি শক্তিশালী ঝড়ের তকমা দিয়েছে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowইতিমধ্যে এই ঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পশ্চিম উপকূলে। বৃষ্টি শুরু হয়েছে উপকূলীয় অংশে। এর মধ্যে আবার কেরলে বর্ষা ঢুকে পড়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কর্নাটক, মহারাষ্ট্র ও গুজরাটে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর।
পূর্ব উপকূলের মতো পশ্চিম উপকূলকে ঘনঘন ঘূর্ণিঝড়ের দাপট সহ্য করতে হয় না। দীর্ঘদিন পর শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাণিজ্যনগরী সহ পশ্চিম উপকূলকে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের এই সময়টায় সবচেয়ে বিপদে ফেলেছে পশ্চিমের রাজ্যগুলোকে। এমনিতেই এই সময় করোনার সংক্রমণে বিধ্বস্ত এই রাজ্যগুলো। ফলে, একদিকে করোনা সংক্রমণ, অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের হানা কিভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে চিন্তিত মহারাষ্ট্র ও গুজরাট প্রশাসন।