কলকাতানিউজ

শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর চেষ্টা, আমফান কেড়ে নিল মাথার ছাদ

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – গোটা বিশ্ব জুড়ে থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস। তারপরেই এমন ঘূর্ণি ঝড়ের তান্ডব। একেই করোনা ভাইরাস এর জন্য মানুষ কার্যত গৃহবন্দি। কারখানা বন্ধ, মন মেজাজ খারাপ এবং জীবিকার পথ কার্যত বন্ধ হয়ে বসে আছে। এই রকম একটা পরিস্থিতিতে সাইক্লোন ঘূর্ণিঝড় এসে তছনছ করে দিল শেষ সম্বলটুকু। তিলে তিলে তৈরি করা ঘর, মাটি দিয়ে লেপে দেওয়া দেওয়াল কিংবা টিন বা খড়ের ছাউনি একেবারে কেড়ে নিল আমফান।

Advertisement
Advertisement

করোনা ভাইরাস কেড়ে নিয়েছিল পেটের ভাত আর এর পরে আমফান কেড়ে নিল মাথার ছাদ। একেবারে ষোল কলা পূর্ণ করা হলো। তবে এর মাঝেও বলতে হয় আশায় বাঁচে চাষা। মানুষের মনের মধ্যে কোথাও একটু আশা থেকেই বাঁচার একটু চেষ্টা করা। ভেঙে পড়া, ধসে পড়া ঘর থেকে বের করা আনা হাঁড়ি, কড়াই যদি কিছু বাঁচানো যায়। কিংবা সন্তানকে জড়িয়ে ধরে কোন মা ছুটে চলেছেন রাস্তা দিয়ে, একটু বাঁচার আশায়।

Advertisement

সর্বত্র চেহারাটা বড়ই ভয়ংকর। এতদিন এই চেহারাটা খুব পরিচিত ছিল সুন্দরবন বা সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকাতে। কিন্তু এবারে এমনই বিধ্বংসী চিত্র ফুটে উঠল কলকাতার বুকে। কলকাতার মানুষ এমন ভয়ংকর ঝড় কোন দিন আগে দেখেছি বলে তো মনে হয় না। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা গেছে জায়গায় জায়গায় উপড়ে পড়েছে গাছ। পৃথিবী যখন একটু একটু করে সেরে উঠছিল, করোনা ভাইরাস এর ইতিবাচক দিক হিসেবে যখন দূষণের মাত্রা কম ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে এতগুলি গাছ উপড়ে ছিড়ে যায়। নষ্ট হয়ে যায় সবুজের প্রাণ। এবার কি আর সত্যি সম্ভব দূষণের মাত্রা কে নিয়ন্ত্রণ করা? এ প্রশ্ন এখন সবারই মনের মধ্যে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button