এদিন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচীব রাজীব সিনহা ইঙ্গিত দিয়েছেন, যেসব অঞ্চল রেড জোনের আওতায় সেসব স্থানে ৩রা মে লক ডাউনের পরেও অত্যাবশ্যকীয় দোকানপাট ছাড়া বাকি দোকানপাট খুলবে না। তবে রাজ্যে ই-কমার্স কোম্পানিগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যদিও গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন লক ডাউনে দোকানপাট খোলা থাকলে লকডাউনের বিধি মানা হবে কিভাবে!
তবে এদিন রাজ্যের মুখ্যসচীব মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরও সাতটি রাজ্যের মুখ্যসচীব ও কেন্দ্রীয় সচিব অজয় ভাল্লার সঙ্গে আলোচনার পরে জানান, কেন্দ্রের থেকে এখনও এ বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়নি। তাই অত্যাবশ্যকীয় দোকানপাট ছাড়া বাকি দোকান ও বাজার খোলা থাকবে কিনা তা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বুধবার। বুধবার নবান্নে এক ক্যাবিনেট কমিটি গঠন করা হবে ‘অন কোভিড-১৯।’ কেন্দ্র স্পষ্টভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না জানালে এই কমিটি ঠিক করবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত অঞলগুলিতে লক ডাউনকে কোনোরকম শিথিল করতে চায়না সরকার। সেখানে বিশেষ নজরদারি রাখা হবে। অরেঞ্জ জোনে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া আরও কিছু দোকানপাট খোলার ব্যাপারে অনুমতি দিতে পারে সরকার। তবে গ্রিন জোনে প্রায় সব দোকানপাট খোলার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত নয়। এদিকে রাজ্যে রেড জোনের আওতায় চারটি জেলা যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগণা ও পূর্ব মেদিনীপুর। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সতর্কবার্তা আগামী ২১শে মে পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে রাজ্যের মানুষকে।