রাজ্য

নদীয়ার শান্তিপুর গোবিন্দপুর কাঁচামালের পাইকারি বাজারে, ভাঙারাসের মেলা

Advertisement
Advertisement

মলয় দে নদীয়া : নদীয়া জেলার শান্তিপুরে ছটি পুরাতন বাজার এবং আটটি নতুন বাজারের কাঁচা সবজির জোগান আসে মূলত গোবিন্দপুর পাইকারি সবজি বাজার থেকে। 34 নম্বর জাতীয় সড়কের দুই পাশে 70 টিরও বেশি আড়ৎ এবং অস্থায়ী প্রায় 200 পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী পসরা সাজিয়ে বসেন নিত্যনৈমিত্তিক! লকডাউনে কোন প্রভাব পড়েনি এই বাজারে, বরং বেশ কিছু একান্নবর্তী পরিবার সস্তা দামে সবজি কিনতে পৌঁছে যাচ্ছে কাকভোরে। সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, বেশিরভাগই ব্যবসায়ীর কৃষকের মুখে নেই মাস্ক, কাঁচামাল হস্তান্তরের ক্ষেত্রেও হাত ধোয়ার নেই কোন ব্যবস্থা, হ্যান্ড গ্লাভস এর ব্যবহার প্রায় নেই বললেই চলে।

Advertisement
Advertisement

বাজারে পাইকারি সবজি কিনতে আসা বহু পুরনো ব্যবসায়ীরা জানান অন্য সময় এত ভিড় চোখে পড়ে না, রাস্তার দুপাশে পুরোটাই ফাঁকা , প্রশাসনিক তৎপরতায় 2 কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তার দুপাশ দিয়ে নূন্যতম দূরত্ব বজায় রেখে বসার কড়া নির্দেশ দিলে সমস্যার নিশ্চয়ই মানতে বাধ্য হতো পাইকারি ব্যবসায়ীরা। শান্তিপুর কেন্দ্রীয় ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক তারক দাস কে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কার্যত ব্যর্থতা স্বীকার করে নিয়ে, অবিলম্বে ওই বাজারের সম্পাদকের সাথে কথা বলে, প্রশাসনিক সহযোগিতায় আগামী দু-একদিনের মধ্যেই শুরু হবে বলে জানান।

Advertisement

অন্যদিকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ ফেলে রেখেও, যাঁরা নিজেদের গৃহবন্ধি করে রেখেছেন, তাদের অভিযোগ 31 শে মার্চ, বাড়িয়ে 14 ই এপ্রিল! তার পরেও বাড়তে পারে লকডাউন এর সময়সীমা , এই আত্মত্যাগ শুধু কি সচেতনদের জন্যই? ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি , ব্যবসায়ীদের জন্য কল্যাণকর কি ব্যবস্থা নিল এই পরিস্থিতিতে? প্রশাসন মনে করলে পারে না এমন কোন কাজ নেই! তবে কেন এই উদাসীনতা??

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button