অফবিট

১০০ মিটার দূর থেকে করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চিহ্নিত করা যাবে, তৈরি হল থার্মাল ক্যামেরা

Advertisement
Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে একেবারে দাবানলের মতো ছেয়ে গেছে। গোটা বিশ্বের মানুষকে এক নিমিষে গৃহবন্দী করে ফেলেছে এর এমনই ক্ষমতা। শিল্প-বাণিজ্য, যানবাহন একেবারে স্তব্ধ। অনেকেই বাড়ি থেকে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অর্থাৎ work from home করছেন। কারণ সব সময় একটাই কথা বলা হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, ভিড় এড়িয়ে চলুন। কারণ ভিড়ের মধ্যে করোনা ভাইরাস ভীষণভাবে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে।

Advertisement
Advertisement

কিন্তু সমাজে এমন কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষ আছেন যারা ইচ্ছা করে ভিড় সৃষ্টি করছেন এবং তাদের এই মুর্খামির জন্য চারিদিকে করোনা ভাইরাস একেবারে ছড়িয়ে পড়ছে। এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য তৈরি হল একটি থার্মাল ক্যামেরা, সেটিও ভারতবর্ষেই তৈরি হয়। যেটিতে প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা যাবে।

Advertisement

Advertisement
Advertisement

এই থার্মাল ক্যামেরা টি ১০০ মিটার দূর থেকে কোন মানুষের শরীরে যদি ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রার থাকে তাহলেই তা মাপতে শুরু করবে। যে সংস্থাটি এই থার্মাল ক্যামেরাটি বানিয়েছে তারা আগের বছর উত্তরপ্রদেশের জেল বন্দীদের জন্য একটি সিসিটিভি ক্যামেরা বানিয়ে ছিলেন। এই কোম্পানির নাম স্টাকু, এর CEO এবং co-founder অতুল রায় বলেন, আমাদের এই নতুন প্রযুক্তি দিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষকে খুব সহজেই একদম প্রথম স্তরে চিহ্নিত করা সহজ হবে। যা হয়তো সমাজকে করোনা ভাইরাস মুক্ত করতে অনেকটা সাহায্য করবে।

ধন্য ভারতবর্ষ বারবার বলতে ইচ্ছা করছে। তবে এখানে কবির ভাষায় বলতেই হয় আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতেই মরি। অনেকেই পড়াশোনার শিখে বিদেশের হাতছানিতে চলে গিয়েছেন, ভারত মাতাকে ভুলে। তাদের আজ আফসোসের হয়তো শেষ নেই। হয়তো এমনটা ভাবছেন তখন সেই দেশে না গিয়ে যদি ভারতের ভূমিতে থেকেই নিজের কাজ করতেন তাহলে হয়তো এখন প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে কুরে কুরে মরতে হতো না। হাতে রয়েছে অগাধ টাকা পয়সা, কিন্তু শান্তি নেই সুখ নেই। ভারত বর্ষ ধন্য ভূমি। আমরা জন্মগ্রহণ করে গর্ববোধ করি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button