ভয়াবহ কোভিড ১৯-এর মোকাবিলায় একমাত্র প্রতিরোধ হল সামাজিক বিচ্ছিন্নতা। সেই উদ্দেশ্যেই একের পর এক রাজ্য লক ডাউন ঘোষণা করেছে। তবু দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়ছে করোনার সংক্রমণ। গতকালই নথিবদ্ধ হয়েছে ১৬০-এর বেশি সংক্রমণের খবর। ইতিমধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে দেশে। কোভিড ১৯-এর দ্বিতীয় স্টেজে রয়েছে ভারত এই অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে আরও বেশি সচেতন হতে হবে মানুষকে। এখনই প্রতিরোধ করা যেতে পারে কোভিড ১৯-কে। এরপর একবার সংক্রমণ গণহারে ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। এমন অবস্থায় আবারও জনতার উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। করোনা মোকাবিলায় করণীয় কী, সে বিষয়ে আজ রাত আটটায় আবারও মানুষের জন্য বার্তা দেবেন তিনি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমণ নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে প্রথম ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন তিনি দেশবাসীর কাছে আবেদন রেখেছিলেন ২২ শে মার্চ দেশ জুড়ে ‘জনতা কার্ফু’ পালনের জন্য। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন দেশবাসী। ২৩ শে মার্চ থেকে দেশের ৮০-টিরও বেশি জেলায় লক ডাউনের অনুরোধ জানিয়েছিল কেন্দ্র। এরপরই একের পর এক রাজ্য লক ডাউন জারি করে। সেইদিনই প্রধানমন্ত্রী জানান, লক ডাউন ভাঙলে কড়া ব্যবস্থা নিক রাজ্য। প্রয়োজনে জেলে ভরারও নির্দেশ দেন তিনি।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowসোমবার থেকে লক ডাউন জারি হয়েছে বিভিন্ন রাজ্যে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে চলেছেন। করোনা প্রতিরোধে যেহেতু সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় একমাত্র উপায়। ফলে দেশ জুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।