এনআরসি, সিএএ এবং এনপিআর সহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সারা দেশে প্রতিনিয়ত চলছে বিক্ষোভ। এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে একাংশ মানুষের মনে হয়েছে ভীতির সঞ্চার। যার ফলে জায়গায় জায়গায় চলেছে ভাংচুর এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্ট। কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ফলে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হয়েছে। এমন অবস্থায় কেন্দ্র জানিয়েছে, চলতি বছরে আগামী এপ্রিল থেকে সারা দেশে শুরু হবে এনপিআর এর প্রক্রিয়া।
এই এনপিআরকে কেন্দ্র করে মানুষ আড়ষ্ট। যার কারন ক্ষতিয়ে দেখলে জানা গিয়েছে, এনপিআর এর ফর্মটিতে যেসমস্ত তথ্য গুলি চাওয়া হয়েছে তা মানুষের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। বিদ্যুতের উৎস, বাড়িতে পানীয় জলের উৎস, শৌচালয় ব্যবস্থা, বর্জ্য নিকাশি ব্যবস্থা, রান্নার জ্বালানি ও এলপিজি কানেকশনের তথ্য এইসমস্ত মিলিয়ে অতিরিক্ত মোট আটটি তথ্য ২০২০ – এনপিআরের জন্য চাওয়া হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অভিভাবকদের বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা,মাতৃভাষা, বাড়ির অভিভাবকের জন্মস্থান ও জন্মতারিখ এবং নাগরিকত্ব।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowএইসমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে মানুষের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের ভারত থেকে বিতাড়িত করার প্রথম ধাপ এনপিআর। কিন্তু এই সমস্ত জল্পনা কল্পনাকে পাশে রেখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, এনপিআরের জন্য অতিরিক্ত কোনো নথি লাগবে না। যেই তথ্যের উত্তর জনগণনাকালীন সেই ব্যক্তিটির কাছে থাকবে তা না দিলেও তাকে ‘সন্দেহভাজন’- এর তালিকায় ধরা হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কাউকেই এনপিআর-এর মাধ্যমে সন্দেহের তালিকায় ধরা হবে না।