ইয়েস ব্যাংকের উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিল কেন্দ্র। গ্রাহকদের আশঙ্কা কাটাতে এগিয়ে এল আরবিআই ও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। ৩০ দিনের জন্য সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যাংকের পরিচালক গোষ্ঠীকে। নিয়োগ করা হয়েছে নিরপেক্ষ প্রশাসক। এখানেই থেমে থাকেনি সরকার। শুক্রবার রাতে ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা রাণা কপুরের বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের (ইডি) একটি দল। দায়ের করা আর্থিক তছরূপের মামলা।
ইডি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে রাণা কপুরের মুম্বাইয়ের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে, গ্রাহকদের আশঙ্কা বাড়িয়ে পড়লো ইয়েস ব্যাংকের শেয়ার দর। প্রায় ৭৪ শতাংশ শেয়ার দর পড়ে যায় শুক্রবার। বিপুল পরিমাণ অনাদায়ী ঋণের কারণেই এই বিপর্যয় বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : ২৪ ঘন্টা পর চালু হলো ইয়েস ব্যাংকের সমস্ত এটিএম
তবে, কেন্দ্রের তরফে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। গ্রাহকদের আমানত নিরাপদ বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, কেন্দ্র সরকার ইয়েস ব্যাংকের সংকট কাটাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে। ব্যাংকের কর্মীদের আগামী এক বছরের বেতন নিয়েও আশ্বাস দেন তিনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছে আরবিআই-ও।
এই উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য পূর্বতন ইউপিএ সরকারকেই দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। ২০১৪-র আগে অনিল আম্বানি গোষ্ঠীকে দেওয়া বিপুল ঋণের কারণেই এই সংকটময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।