শ্রেয়া চ্যাটার্জি : ডলফিন সাধারণত সমুদ্রের মাছ। সমুদ্রেই এদের বসবাস। সমুদ্র ছেড়ে ডলফিন এর দেখা মিলল ইচ্ছামতী নদীতে।ইন্দো-প্যাসিফিক হ্যাম্পব্যাক গোত্রের এই ডলফিনটি সাধারণত সুন্দরবনের খাড়ি বা সমুদ্রের নোনা জলে দেখা যায়। ইছামতি নদীর সঙ্গে যোগ আছে সুন্দরবনের রায়মঙ্গল নদীর, আর মনে করা হচ্ছে এই পথেই ডলফিনটি ইচ্ছামতী নদীতে চলে এসেছে। কয়েকদিন ধরে খড়গাছি, পোলতা , ক্ষুদিরাম ঘাটে এই ডলফিন টিকে দেখা যাচ্ছিল। স্থানীয় মানুষজন তাকে ইট-পাটকেল মেরে ঘায়েল করার চেষ্টা করছিল তবে এই কথা বনদফতরের কানে যাওয়ায় তারা নিজে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
সোমবার উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুড়িয়া খড়গাছি গ্রামের কাছে দেখা যায়। বনকর্মীরা গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ডলফিন টিকে জালে ধরেন। এটি ওজনে প্রায় আড়াইশো কেজি, লম্বা সাত ফুট। বনদপ্তর এর তরফ থেকে জানানো হয়, ডলফিনটি কে ঝড়খালি তে নিয়ে এসে সমুদ্রে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowনদীতে হঠাৎ করে এমন একটি সুন্দর মাছ কে দেখলে গ্রামের লোকেরা অবাক হয়ে যান এবং এই মাছটিকে সামলাতে না পেরে তারা তাদের গায়ে গায়ে ইট-পাটকেল মারতে শুরু করেন। যা এই মাছগুলো জন্য সত্যিই খুব কষ্টকর। একে তো নদী তাদের অচেনা বা জায়গা এখানে এরা থাকতে পারে না, কারণ তারা নোনা জলের মাছ। তারপর এইরকম বিরক্তিকর পরিবেশ আরও ক্ষতিকর করে তোলে। এই ঘটনা নতুন নয়, আগেও এমন দেখা গেছে। অনেক মাছের মৃত্যু হয়েছে মানুষের অত্যাচারে।