বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মানুষ একা নাও থাকতে পারে, অন্য গ্রহে কোন জীব থাকলেও থাকতে পারে, এই কৌতুহল দীর্ঘ দিন ধরেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে দেখা গেছে, তবে খুব শীঘ্রই মিলতে পারে এই প্রশ্নের উত্তর ৷মহাকাশের অন্য প্রান্ত থেকে ক্রমাগত ধেয়ে আসছে এক রেডিও সিগন্যাল যার খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা, যা প্রতি ১৬ দিন অন্তর ফিরে আসছে। ব্রহ্মাণ্ডের অন্য কোনও গ্রহে মানুষের মতোই অন্য জীবের বসবাস থাকতে পারে,যা বহুদিন ধরে জানার চেষ্টা করছে বিজ্ঞানীরা। তবে খরবে জানা গেছে পৃথিবী থেকে ৫০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ক্রমাগত বার্স্ট (রেডিও সিগন্যালের ধারা) আসছে, সম্প্রতি কানাডিয়ান হাইড্রোজেন ইন্টেনসিটি ম্যাপিং এক্সপেরিমেন্ট (চাইম)-এ আওতাধীন ফাস্ট রেডিও বার্স্ট (এফআরবি) প্রোজেক্টে কর্মরত বিজ্ঞানীরা এমনই ঘটনা লক্ষ্য করেছেন।
প্রাথমিক ধারনায় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন কোনও একটি ছায়াপথের বাইরে একটি নক্ষত্র বা কোনও বস্তু তার কক্ষপথে দ্রুতগতিতে চক্কর দিচ্ছে যার কারণে এধরনের তরঙ্গ সেখান থেকে নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। মহাকাশ ভেদ করে এফআরবি (মিলিসেকেন্ড-দৈর্ঘ্যের রেডিও-তরঙ্গ) ঢেউ ধেয়ে আসছে যা একটানা চারদিন আসছে, তারপর ১২ দিন পর দেখা দিচ্ছে। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই নির্দিষ্ট ধারা লক্ষ্য করেছেন বিজ্ঞানীরা।
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowআরও পড়ুন : BSNL এর দারুন প্ল্যান, ১০০ টাকার কমে প্রতিদিন মিলবে ১০ GB ডেটা ব্যবহারের সুযোগ
এই এফআরবি উচ্চশক্তি-সম্পন্ন ছোট আকারের রেডিও তরঙ্গের বার্স্ট একাধিকবার পাঠানোয় উৎস সন্ধানে ব্যর্থ হচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।কারণ নতুন জায়গার সন্ধান দিচ্ছে প্রতিটি বার্স্ট। প্রথম বার্স্টটি ‘এফআরবি ১২১১০২’- এর ঠিকানা ছিল একটি ছোট ছায়াপথ, যেখানে নক্ষত্র ও ধাতব বস্তু রয়েছে। ‘এফআরবি ১৮০৯১৬’ -এর ঠিকানা চক্রাকৃতি ছায়াপথ। এই ঘটনাটি বিজ্ঞানীদের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার করছে।