কম খরচে সরকারি ব্যবসা শুরু করার স্বপ্ন যদি থাকে, তবে ডাকঘরের ফ্র্যাঞ্চাইজি স্কিম হতে পারে সেই সোনার সুযোগ। মাত্র ৫,০০০ বিনিয়োগে এখন যে কেউ ছোট্ট পোস্ট অফিস খুলে প্রতি মাসে স্থিতিশীল আয় করতে পারবেন। গ্রাম হোক বা শহর—এই উদ্যোগ কর্মসংস্থান তৈরি করছে এবং অনেকের কাছে হয়ে উঠছে আয়ের নতুন পথ।
কীভাবে যুক্ত হওয়া যাবে?
এই স্কিমে কাজ করার দু’টি উপায় রয়েছে—
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Now১. পোস্ট অফিস ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট খোলা:
যেখানে কোনও ডাকঘর নেই, সেখানে ছোট আউটলেট চালু করা যাবে। মানুষ এখানে চিঠি পাঠানো, মানি অর্ডার, সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট খোলা এবং অন্যান্য পরিষেবা নিতে পারবেন।
২. ডাক এজেন্ট হওয়া:
এক্ষেত্রে ডাকটিকিট, স্টেশনারি এবং অন্যান্য ডাক সম্পর্কিত সামগ্রী বিক্রি করতে হবে। গ্রাম বা শহর—দুই জায়গাতেই এই কাজ করা সম্ভব।
কত খরচ হবে?
একটি পোস্ট ফ্র্যাঞ্চাইজি আউটলেট চালু করতে ২০০ বর্গফুট জায়গা এবং ৫,০০০ সিকিউরিটি ডিপোজিট প্রয়োজন। অন্যদিকে, ডাক এজেন্ট হতে কিছুটা বেশি খরচ হতে পারে কারণ স্টেশনারি ও স্ট্যাম্প কিনতে হবে। তবে উভয় ক্ষেত্রেই প্রতিটি পরিষেবা থেকে কমিশন বা চার্জ পাওয়া যাবে, যা মাসিক আয়ের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস হতে পারে।
আবেদন করার যোগ্যতা
এই প্রকল্পে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন নেই। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেই আবেদন করা যাবে। আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি: আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, বাসস্থানের প্রমাণপত্র, ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং জাত বা আয়ের শংসাপত্র (যদি থাকে)।
কোথায় যোগাযোগ করবেন?
আগ্রহীরা নিকটবর্তী ডাকঘরে গিয়ে ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। পোস্ট অফিসের কর্মীরা কীভাবে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন। সব কিছু সঠিকভাবে হলে দ্রুতই কাজ শুরু করা সম্ভব হবে।
কেন এই স্কিম জনপ্রিয় হচ্ছে?
যারা ছোট বিনিয়োগে নিরাপদ সরকারি ব্যবসা চান, তাঁদের জন্য এটি এক অসাধারণ সুযোগ। এখানে বড় ঝুঁকি নেই এবং ডাকঘরের মতো প্রতিষ্ঠিত সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায়, যেখানে ডাকঘর নেই, সেখানে এই স্কিম গ্রামীণ মানুষের কাছে হয়ে উঠছে বড় সহায়ক।