Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

কেপি শর্মা অলি এত কোটি টাকার সম্পদের মালিক, সুইস ব্যাংকেও জমা মোটা টাকা – KP Sharma Oli Net Worth

নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নয়া মোড়। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন, যা দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। চলমান সহিংসতার আবহেই তার বিরুদ্ধে বিদেশি সম্পত্তি এবং বিনিয়োগ নিয়ে বিতর্ক…

Avatar

নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নয়া মোড়। প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন, যা দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। চলমান সহিংসতার আবহেই তার বিরুদ্ধে বিদেশি সম্পত্তি এবং বিনিয়োগ নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে একাধিক আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অলির প্রায় ৪১ কোটি টাকা জমা রয়েছে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর বিরোধী দল ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে—এত বিপুল অর্থের উৎস কী?

বিতর্ক ও পদত্যাগ

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওলি দীর্ঘদিন সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তাকে ঘিরে প্রশ্ন বাড়ছিল। গ্লোবাল ওয়াচ অ্যানালাইসিসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার নামে বিদেশে উল্লেখযোগ্য সম্পত্তি রয়েছে। এই অভিযোগ রাজনৈতিক চাপকে আরও বাড়িয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

রাজনৈতিক জীবনের ঝলক

কেপি শর্মা ওলি তিনবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। প্রথমবার তিনি ২০১৫ সালের অক্টোবরে ক্ষমতায় আসেন এবং প্রায় এক বছর পর ২০১৬ সালের আগস্টে পদ ছাড়েন। দ্বিতীয় দফায় ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী হন এবং ২০২১ সালের মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। তৃতীয়বার তিনি ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ক্ষমতায় ফেরেন, কিন্তু মাত্র এক বছরের মধ্যেই বিতর্ক এবং সহিংসতার আবহে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

বিরোধীদের অবস্থান

ওলির পদত্যাগের পর বিরোধী দলগুলি স্বাভাবিকভাবেই চাপ বাড়াচ্ছে। তাদের দাবি, তার সম্পত্তি ও বিনিয়োগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত। সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেও এই বিতর্ক গভীর প্রভাব ফেলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালের মতো একটি দেশে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে থাকা নিয়ে স্বচ্ছতা অপরিহার্য।

সামনে কী?

ওলির পদত্যাগে নেপালে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সহিংস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা এবং নাগরিক আস্থা ফিরিয়ে আনা এখন নয়া নেতৃত্বের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে। আগামী দিনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কীভাবে ফিরিয়ে আনা যায়, সেটিই নজর কাড়বে।

About Author